
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে এবার নতুন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। তাদের দাবি—এই অস্ত্রটি শুধু ইসরাইল নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেদ করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘হাজ কাসেম’, যার নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াত ইরানি সেনা জেনারেল কাশেম সোলায়মানী-এর নামে।
কী আছে ‘হাজ কাসেম’-এ?
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে জানিয়েছেন, এটি এমন এক অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র যা ইসরাইলের আয়রন ডোম ও যুক্তরাষ্ট্রের থার্ড লেয়ারের প্রতিরক্ষা পদ্ধতি অতিক্রম করে নিশানায় আঘাত হানতে পারে।
প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য:
-
গতিবেগ: ঘণ্টায় ১২০০ কিলোমিটার
-
ওয়্যারহেড: প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদে সক্ষম
-
নেভিগেশন: নিখুঁত টার্গেটিং সিস্টেম
-
ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রতিরোধ: শত্রুর ইলেকট্রনিক সিস্টেম বিকল করার প্রযুক্তি
কবে এবং কোথায় ব্যবহার?
ফারস নিউজের বরাতে জানা যায়, শনিবার রাতভর ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনাকে ইরান বলছে, “শহীদদের রক্তের বদলা”।
কাশেম সোলায়মানী—কেন তাঁর নামে নামকরণ?
২০২০ সালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন জেনারেল কাশেম সোলায়মানী। তিনি ছিলেন ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের এক অন্যতম প্রভাবশালী সামরিক কৌশলবিদ। তাঁর স্মরণে ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে ‘হাজ কাসেম’।
চলমান সংঘাত ও হতাহতের তথ্য
গত শুক্রবার থেকে ইসরাইল-ইরান মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে ৭৪ জন নিহত এবং ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন।
তাহলে কি বদলে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের হিসাব?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান যদি সত্যিই ‘হাজ কাসেম’-এর মাধ্যমে শত্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক গলে আঘাত হানতে পারে, তবে এটি হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রণনীতিতে এক নতুন বাঁক। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—ইসরাইলের ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কি পারবে এই মিসাইল ঠেকাতে?
আঁখি