ছবি: সংগৃহীত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের হাইফা ও ব্যাট ইয়ামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তরের বেইসান এলাকায় ড্রোনও দেখা গেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সামরিক কর্তৃপক্ষ অন্তত চারটি আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশে মিডিয়াকে বাধা দিয়েছে।
ব্যাট ইয়ামের বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে এখনও মাটি চাপা পড়ে থাকা মানুষ রয়েছেন বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন। এই হামলা প্রথম রাতের সংঘর্ষের তুলনায় অনেক বেশি সহিংস এবং এটি ইরানের ইসরায়েলের প্রতি পাল্টা হামলার প্রতিফলন। বিশেষ করে হাইফায়, যেখানে বড় বড় তেল পরিশোধনাগার রয়েছে, সেখানে আঘাত পৌঁছানো ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি ইসরায়েল কোনও বেসামরিক অবকাঠামো বা জ্বালানি সম্পর্কিত স্থানে হামলা করে, তবে ইরানও সমপরিমাণ জবাব দেবে।
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের তেল পরিশোধনাগারের নিকটে একটি জ্বালানি ট্যাংকে আগুন লেগেছিল। তবে পরিশোধনাগারের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ অব্যাহত রয়েছে এবং আগুনটি সরাসরি পরিশোধনাগারের সাথে সম্পর্কিত নয়।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর জর্ডানের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রাতভর বন্ধ থাকার পর দেশটির আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও স্বাভাবিক বিমান চলাচল পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা
আবির
