
ছবি: জনকন্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শিপনসহ গ্রামবাসী আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরদাবাদ গ্রামের বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শিপন মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঈদের পর এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
সকালে সালিশের ডাক দেয় রুপসদী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুসা হায়দার। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শিপন তার লোকজন নিয়ে ফরদাবাদ শান্তির বাজারে গেলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ফরদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক যুবদল সভাপতি সালাউদ্দিন। এতে শিপন গ্রুপের ১৩ জন ও সালাউদ্দিন গ্রুপের ৩ জন আহত হয়। শিপন গ্রুপের ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শিপনের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে আসলে ছয়টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে সালাউদ্দীনের লোকজন। এমনকি বেশকিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।
হামলায় আহতদের স্বজনরা জানান, সালাউদ্দিন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ৫ আগস্টের পর থেকে একের পর এক অপরাধ করে আসছে। চাঁদাবাজি ছাড়া তার গ্রুপের অন্য কোনো কাজ নেই। বাঁধা দিলেই বিপত্তি বাঁধে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের পক্ষের কথা বলতে চাইলে কেউ বলতে রাজি হননি।
আহতরা হলেন- ইমন, শাহপরান, শিশু মিয়া, সোহেল, ফারুক, সাদ্দাম, রোহেল, সালাউদ্দিন, মামুন, সালমা, আখি আক্তারসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন।
হামলার বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম.ম ইলিয়াস বলেন, "আধিপত্য বিস্তার কিংবা ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এমন হামলা হতে পারে। দুই গ্রুপের লোকজনই বিএনপির। আমি বিস্তারিত জেনে পরে জানাব।"
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে উভয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Mily