ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

পরিপত্র-প্রজ্ঞাপন জারি

দলিল থাকা সত্ত্বেও ২০২৫ সালের মধ্যে যে পাঁচ ধরনের জমির দখল ছাড়তে হবে!

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৫ জুন ২০২৫

দলিল থাকা সত্ত্বেও ২০২৫ সালের মধ্যে যে পাঁচ ধরনের জমির দখল ছাড়তে হবে!

ছবিঃ সংগৃহীত

ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ ধরনের জমির দখল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে, এমনকি দলিল থাকা সত্ত্বেও। সম্প্রতি জারি করা একাধিক পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব জমি অবৈধভাবে দখলে থাকলে সেগুলো ছাড়তে হবে এবং প্রয়োজন হলে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে সরকারি পরিপত্রে বলা হয়েছে, “দলিল যার, ভূমি তার”—এই ধারণা সবক্ষেত্রে কার্যকর নয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দলিল বৈধ হলেও জমির মালিকানা এবং দখল আইনি ভিত্তিতে বৈধ নয়।

সরকার চিহ্নিত করেছে পাঁচ ধরনের জমি বা দলিল, যেগুলোর ক্ষেত্রে দখলদারিত্ব বাতিল করে জমি ছাড়তে হবে:

১. সাব-কবলা দলিল

যেসব সাব-কবলা দলিল উত্তরাধিকার বণ্টন ছাড়া, কোনো ওয়ারিশকে বঞ্চিত করে করা হয়েছে, সেগুলো বাতিলযোগ্য। বঞ্চিত ওয়ারিশ আদালতে মামলা করলে দখলদারের দলিল খারিজ হয়ে যাবে।

২. হেবা দলিল

যদি কোনো হেবা দলিল শর্ত ভঙ্গ করে করা হয়—যেমন: দাতার পূর্ণ মালিকানা না থাকা, হেবা গ্রহণের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা—তাহলে সেই হেবা দলিলও বাতিলযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

৩. জাল দলিল

ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন জালিয়াতি করে করা দলিল শনাক্তকরণ সহজ হচ্ছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির মাধ্যমে করা দলিলও বাতিল হবে যদি প্রকৃত মালিক আইনি প্রমাণ হাজির করতে পারেন।

৪. খাস খতিয়ানের সম্পত্তি

সরকারি খাস খতিয়ানে থাকা জমি যদি কেউ এসএ/আরএস খতিয়ানে নিজের নামে করে বিক্রি করে থাকেন, তাহলে সেই দলিল বাতিল হবে এবং জমি সরকারের অধীনে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসককে মামলায় লড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

৫. অর্পিত সম্পত্তি

যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া অর্পিত সম্পত্তি যেকোনো ব্যক্তি দখলে রাখলে তা ছাড়তে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে এই জমিগুলো আলাদা করে চিহ্নিত করে সরকারকে বুঝিয়ে দেবে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, আদালতের রায় ছাড়া এসব জমির দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখা যাবে না। এর ফলে যারা বছরের পর বছর ধরে এসব জমি ভোগ করে আসছিলেন, তাঁদের এখনই আইনি প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

পরিপত্রের মূল উদ্দেশ্য, সরকারের নিজস্ব সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সরকারি সূত্র বলছে, এসব পদক্ষেপের ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য সম্পত্তি ফিরে পাবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

সূত্রঃ https://youtu.be/3m3Wxvi96C0?si=zhNCApTblXgWU1Wn

ইমরান

×