
ছবিঃ সংগৃহীত
জমির মালিকানা সংক্রান্ত ঝামেলা আর নয়—এবার মাত্র তিনটি সহজ পদ্ধতিতে আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন জমির নামজারি, মিউটেশন ও খাজনা খারিজ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী, এখন থেকে অনলাইনেই নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। এতে করে দালাল কিংবা অফিসে দৌড়াদৌড়ির দিন শেষ।
নামজারি কী এবং কেন প্রয়োজন?
নামজারি হচ্ছে সেই আইনি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জমির পূর্বতন মালিক থেকে নতুন মালিকের নামে খতিয়ান বা মালিকানার স্বীকৃতি ভূমি রেকর্ডে লিপিবদ্ধ হয়। এটি না করলে ভবিষ্যতে জমি নিয়ে মালিকানা জটিলতা বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তিনটি পদ্ধতিতে এখন থেকে নামজারি করা যাবে:
১. জমা ভাগ না করেই নামজারি (যৌথভাবে):
যদি ওয়ারিশ সূত্রে জমি পাওয়া হয় এবং আপোষ বণ্টন না হয়, তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ কায়েম সনদ, জমির কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে জমা দিয়ে সবাই মিলেই যৌথভাবে নামজারি করা যাবে। এতে করে প্রত্যেকে নিজ নিজ অংশ অনুযায়ী মালিকানা পাবেন।
২. জমা ভাগ করে নামজারি (একক মালিকানা):
যারা নিজেদের মধ্যে জমির সুনির্দিষ্ট অংশ ভাগ করে নিতে চান, তারা আপোষ বণ্টননামা দলিল করে নির্দিষ্ট কে কোন জায়গা পাবেন তা স্থির করে নিতে পারবেন। এই দলিলের ভিত্তিতে সবাই নিজের অংশে একক মালিকানার নামজারি করতে পারবেন।
৩. স্বয়ংক্রিয় নামজারি (অটোমেটেড প্রসেস):
এখন থেকে দেশের ২১টি উপজেলায় চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় নামজারি পদ্ধতি। যেখানে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে তথ্য অনলাইনে এসিল্যান্ড অফিসে পৌঁছে যাবে এবং নতুন মালিকের নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে—কোনো আবেদন ছাড়াই।
(এই প্রক্রিয়াটি জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে দেশের সব উপজেলায় চালু হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।)
সতর্কবার্তা:
ভূমি মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো দালাল বা তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা লাগবে না। তাই প্রতারণা এড়াতে সরাসরি অনলাইন আবেদন বা ভূমি অফিসের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।
ইমরান