
ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা ভয়াবহ মোড় নিচ্ছে। পাল্টাপাল্টি হামলার পাশাপাশি আসছে আরও ভয়াবহ আক্রমণের হুমকি। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই ইসরায়েলকে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিলো মুসলিম রাষ্ট্র ইরাক।
সম্প্রতি ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা। এরই প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরাক, বিশেষ করে নিজেদের আকাশসীমা নিয়ে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইরাকি বার্তা সংস্থা INA-এর মাধ্যমে ইরাক জানিয়েছে—তাদের কৌশলগত কাঠামো চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের আকাশসীমা যেন কোনোভাবে লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে।
ইরাকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—দেশটির সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী জোটের সদস্য দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইরাককে কোনো সামরিক সংঘাতের অংশ না হতে দেওয়া।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১৩ জুন ইসরায়েলের চালানো হামলায় যে ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—তাতে ইরাক আশঙ্কা করছে ভবিষ্যতে ইসরায়েল তাদের আকাশপথ ব্যবহার করে আবারও ইরানে হামলা চালাতে পারে, যা হবে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের দেওয়া তথ্যমতে, ১৩ জুনের ওই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরাও।
ইরাকের এই হুঁশিয়ারি তাই শুধু একটি প্রতিক্রিয়াশীল বিবৃতি নয়, বরং তা স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা যে বাগদাদ কোনওভাবেই এই আঞ্চলিক সংঘাতে জড়াতে চায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৮ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের উপর ইরাকের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের এই সতর্কবার্তা কতটা গুরুত্ব সহকারে নেয়, এবং ইসরায়েল ভবিষ্যতে কেমন পদক্ষেপ নেয়।
ইমরান