
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে রবিবার অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন
শুধুমাত্র জরুরি সেবা চালু রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কার্যালয় অবরুদ্ধ করে আবারও বিরতিহীনভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘গায়ের জোরে নয়, সাংবিধানিকভাবে ও জনগণের ভোটে আমি বৈধ মেয়র। বরং ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠবে। তাই সরকারকে বলব, দ্রুত এ বিষয়ের সমাধান করুন।’
রবিবার নগর ভবনে ঢাকাবাসীর ব্যানারে আন্দোলন করা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে তার সমর্থকরা। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, ইশরাকের সমর্থকসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতির পর আবার কর্মসূচি দেওয়া হয়। ঈদের আগে টানা তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে গত ৩ জুন নগর ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঈদের সময় মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় আন্দোলনে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করেন ইশরাক হোসেন। টানা দশদিনের ঈদের ছুটি শেষে রবিবার থেকে শুরু হয় সরকারি অফিস-আদালত। তাই প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আবারও ঢাকাবাসীর ব্যানারে কর্মসূচি শুরু করে তার সমর্থকরা।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ডিএসসিসির নগর ভবনে ঢাকাবাসীর ব্যানারে আন্দোলন করা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। জন্মনিবন্ধন সনদসহ দৈনন্দিন জরুরি সেবা চালু থাকবে। অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করা কর্মকর্তারা অফিস করতে পারবে না।
প্রধান ফটকের তালা খোলা হবে না, এটা আন্দোলনের একটা প্রতীক। জনগণের দৈনন্দিন সেবা আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা গায়ের জোরে নয়, সাংবিধানিকভাবে ও জনগণের ভোটে আমি বৈধ মেয়র। বরং ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠবে। তাই সরকারকে বলব দ্রুত এই বিষয়ের সমাধান করুন।