ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দি করা হয়েছিল: তারেক রহমান

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ১৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:৫৮, ১৬ জুন ২০২৫

‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দি করা হয়েছিল: তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

১৬ জুন—বাংলাদেশের ইতিহাসে এক 'কালো দিবস' হিসেবে অভিহিত করে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী দেশের সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা 'বাকশাল' প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করেছিল।

তারেক রহমান বলেন, “১৬ জুন ১৯৭৫ সালে চারটি সরকারপন্থী সংবাদপত্র ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বহু সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েন। তাদের জীবিকা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা, অথচ বাকশালের মাধ্যমে তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, “বাকশাল সরকার দেশের মানুষের চিন্তা, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে হরণ করে।”

তারেক রহমান দাবি করেন, পরবর্তীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন।

তারেক রহমান লেখেন, “শেখ মুজিবের মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও একই দমনমূলক নীতির অনুসরণ করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত দমনপীড়ন চালানো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সত্য প্রকাশের সাহস দেখালেই শাস্তি আর নির্যাতন নেমে এসেছে। সাংবাদিকদের জন্য শঙ্কার এক বাস্তবতা তৈরি হয়েছিল। আজও গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন নয়, যদিও ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর কিছুটা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ মিলেছে।”

তারেক রহমান তার বিবৃতির শেষে বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান উপাদান। গণতন্ত্রকে নিরাপদ ও টেকসই করতে হলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি শেষ করেন “আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে।

আবির

×