ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের হামলায় অগ্নিগর্ভ ইসরায়েল; ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন দূতাবাসও

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১৬ জুন ২০২৫

ইরানের হামলায় অগ্নিগর্ভ ইসরায়েল; ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন দূতাবাসও

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। ইরানের লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ইসরাইল। টানা তৃতীয় রাতেও ইসরাইলজুড়ে ছুটে আসছে ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইল, কেঁপে উঠছে রাজধানী তেলআবিব, বন্দরনগরী হাইফা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো।

 

ইরানের সামরিক বাহিনী আইআরজিসি শনিবার গভীর রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে নতুন ধাপের হামলা শুরু করে। ইহুদি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দফায় দফায় ছোড়া হয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। এর বেশিরভাগই তেলআবিব, পেতাতিকবা ও হাইফার বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানে। এক রাতেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও আটজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন অনেকে। আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তেলআবিব দূতাবাসও।

বিশাল বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাইফা বন্দরের একটি তেল শোধনাগার। একে ‘নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ’ বলছে পর্যবেক্ষক মহল।

 

 

ইরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা হামলা বন্ধ করবে না। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরাইল যতবার আক্রমণ করবে, আমরা তার চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিতে জবাব দেব। যুদ্ধ চাই না, কিন্তু বাধ্য করা হচ্ছে।”

ইতোমধ্যে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় ইরানের ২২৪ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেলআবিব। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তুতে ছিল আইআরজিসির অভিজাত কুদস ফোর্সের সদর দপ্তর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন, অস্ত্রাগার এবং ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি। তেহরানে আকাশ থেকে চালানো একাধিক বিমান হামলায় কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি আপনাদের আগেই কঠিন দিনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিলাম। আমরা এখন আমাদের অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় দুই হুমকি—ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম ও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির মোকাবেলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

তীব্র সংঘাতের জেরে তেহরানজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন হাজারো বাসিন্দা। শহরজুড়ে যানজট, সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি। ইরান-ইসরাইল মুখোমুখি যুদ্ধের এই পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
 

ছামিয়া

×