তরুণদের কীভাবে রাজনীতিবিমুখ করেছিলো আওয়ামী লীগ,জানালেন সামান্তা শারমিন

রাজনীতিকে তরুণদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ—এমন অভিযোগ তুলেছেন এনসিপির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি দাবি করেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দলটি প্রথম ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম শুরু করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।

সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সামান্তা শারমিন বলেন, “এই সময়টায় আওয়ামী লীগ একটি সুস্পষ্ট প্রজেক্ট হাতে নেয়—‘অরাজনৈতিক তরুণ প্রজন্ম’ তৈরি। তারা চেয়েছে যেন তরুণরা বলে, আমি পলিটিক্স পছন্দ করি না। এটা যেন তাদের ব্যক্তিগত গর্বে পরিণত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “এই উদ্দেশ্যে দলটি বিভিন্ন জায়গায় বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। তরুণদের মনোযোগ রাজনীতি থেকে সরিয়ে তাদের সংস্কৃতি, বিনোদন ও তথাকথিত 'স্টারডম'-এর দিকে ধাবিত করা হয়।”

সামান্তা শারমিনের মতে, ফেসবুক, ইউটিউব এবং বিভিন্ন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে তরুণদের মাঝে রাজনীতিকে ‘ঝামেলা’ বা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে তুলে ধরা হয়। রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ দেখানোকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যেন তরুণরা নিজেরাই রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখে।

তিনি আরও বলেন, “একটা সময় যারা রাজনীতি করত, তাদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ তৈরি হতো। কিন্তু বর্তমান তরুণদের মধ্যে সেই প্রবণতা নেই। এটি একটি কৌশলগত সামাজিক প্রকল্পের ফল।”

বিশ্লেষকদের মতে, তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা কমে গেলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ দুর্বল হয়ে পড়ে। সামান্তা শারমিনের বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে—আসলে তরুণদের রাজনীতিচ্যুত করার পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখন পুনরায় বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে।