
দেশে আবারও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ
দেশে আবারও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রয়েছে ডেঙ্গুজ¦রের প্রকোপ। করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
একইসঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণার কাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে বলা হয়েছে। রবিবার মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) খালিদ হোসেনের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত আদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বলা হয়, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা কাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। করোনাভাইরাস রোধে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বার বার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড), জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা, হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
দেশের ১৭টি স্থানের ল্যাবরেটরিতে করোনা তথা আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা রবিবার শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেঞ্জ রিঅ্যাকশনসহ (আরটি-পিসিআর) বিভিন্ন পদ্ধতিতে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিগুলোতে পর্যাপ্ত টেস্ট কিট সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ভিটিএম (ভাইরাল ট্রান্সমিশন মিডিয়া) পাঠানো হয়েছে। তারা সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠাবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তারা বিভিন্ন হাসপাতালে (যেখানে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি রয়েছে) যোগাযোগ করলেও সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য টেস্ট কিট নেই বলে জানানো হচ্ছে। অনেকেই পরীক্ষা করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর রবিবার থেকে সরকারি অফিস আদালত খুলেছে। গত দুই তিনদিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে। রবিবার থেকে দেশের ১৭টি স্থানে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সরাসরি ও ভিটিএম পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে এনে পরীক্ষা করা হবে।’ আগামী এক মাস পজেটিভ রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।