
ছবি: সংগৃহীত।
ইরান বিশ্বকে বারবার জানিয়েছে—তাদের লক্ষ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় পরমাণু প্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জন করা। এই অবস্থান বহু বছর ধরে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
১৯৮৯ সালে রুহুল্লাহ খোমেনির উত্তরসূরি হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর খামেনি শুধু একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে নয়, বরং ইরানকে একটি সামরিক ও রাজনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বেই দেশটি অংশ নিয়েছে ইরাক যুদ্ধ, ইয়েমেন সংকট এবং ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন সামরিক অভিযানে।
বিশেষ করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র সামরিক শক্তি ও আধুনিকায়নে তার অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি সবসময় বলে এসেছেন—“ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না। যদি আমরা অস্ত্র বানাতে চাইতাম, তবে পশ্চিমারা তা থামাতে পারতো না। তারা পারেওনি, পারবেও না।”
এমন এক সময়েই মার্কিন প্রশাসনের সূত্র জানায়, ইসরায়েল গোপনে খামেনিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। যদিও কীভাবে এ পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন বলেই দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্রের।
মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এখনও পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা বা ক্ষতিগ্রস্ত করেনি। তাই নৈতিক অবস্থান বজায় রেখে ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে থেকেছেন ট্রাম্প।
তবে ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনো মার্কিন নাগরিক যদি ইরানের দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে তার জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ঘিরে ইসরায়েলের এই সম্ভাব্য হত্যাচেষ্টার খবর সামনে আসার পর তীব্র কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এ ঘটনার পেছনে পারমাণবিক চুক্তি বিষয়ক দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ এবং ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে দায়ী করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
নুসরাত