
ছবি: সংগৃহীত।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পর দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি।
রবিবার গভীর রাতে ইরানের চালানো একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শব্দ ও কম্পনে দূতাবাসের জানালা ও কাচ ভেঙে যায়। তবে দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী আহত হননি বলে জানানো হয়েছে।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রদূত হাকাবি লেখেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের কম্পনে তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাস শাখা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো মার্কিন কর্মী আহত হননি। দূতাবাস ও কনস্যুলেট সোমবার বন্ধ থাকবে এবং সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”
ঘটনার ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, দূতাবাস ভবনের আশপাশের জানালাগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে এবং কাচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। হামলার পর দূতাবাসের কর্মীদের জরুরি নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসারে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্থাপনার ওপর সরাসরি প্রথম হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে।
ইরানের পক্ষ থেকে সোমবার ভোরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৯২ জন আহত হন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আদোম’।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে এই তীব্র সংঘর্ষের সূচনা হয়। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছে। তবে মার্কিন এক সিনিয়র কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ওপর হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, “তাদের একটা চুক্তি করা উচিত। তবে অনেক সময় প্রথমে লড়াই করেই তা করতে হয়।”
সূত্র: https://short-link.me/10A38
মিরাজ খান