
নেত্রকোনার মদন উপজেলার দেওসহিলা গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ছয় বছর বয়সী এক শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তির গোয়ালঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর নাম সৌরভ, সে দেওসহিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র এবং গ্রামের শফিউল্লার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও পাশের বাড়ির এক গৃহশিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সৌরভ। যাওয়ার পথে সে স্থানীয় একটি দোকান থেকেও কিছু কিনে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে দোকানের পাশের বাসিন্দা বনার চৌধুরী তার গোয়ালঘরে শিশুটির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
বনার চৌধুরী বলেন, “গোয়ালঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি শিশুটি পড়ে আছে, শরীর রক্তে ভেজা। আমি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।”
শিশুটির বাবা শফিউল্লাহ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা এমন করল বুঝতে পারছি না। আমার ছেলেটাকে কে এমন নিষ্ঠুরভাবে মারল!”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পরিবার যা চাইবে, সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম শোক ও উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের ধারণা, এটি পূর্বপরিকল্পিত কোনো হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
মিমিয়া