
সরকার নির্ধারিত সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ে জেলেরা। এবার তাদের ভাগ্য বদলের আসায় বিনামূল্যে সরকারিভাবে দেয়া হয়েছে একটি বকনা বাছুর। সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের বাসিন্দা কেরামত কাজী। সরকারি নিবন্ধিত জেলে তিনি। নদীতে মাছ ধরার আয়ের অর্থ দিয়ে কোনমতে চলে সংসার। একইভাগে পূর্বরাস্তি গ্রামের গুরুদাস মালোও পেয়েছেন এই সরকারি সহায়তা। সাবলম্বী আর পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে পশুকে পরমযত্নে লালন-পালন করার কথা জানান তারা। শুধু কেরামত কাজী কিংবা গুরুদাস মালোই নয়। তাদের মতো সদর উপজেলার ৭৫জন মৎসচাষিকে দেয়া হয়েছে এই বাছুর। যা পেতে জেলেরা সোমবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সদর উপজেলায় সেখানে ভীড় করেন। প্রথমবাবের মতো গবাদিপশু বিনামূল্যে পেয়ে দারুণ খুশি জেলেরা।
জানা গেছে, ৭০ কেজি ওজনের এক একটি বকনা বাছুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনা হয় ৪০ হাজার টাকা করে। দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার মৎষচাষীদের দেয়া হয়েছে বকনা বাছুর। যা সহযোগিতা করেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা তপন কুমার মজুমদার। এর আগে একই প্রকল্পের আওতায় দেয়া হয়েছে ছাগল, থাকার ঘর ও জেলের জন্য জাল। যা দিয়ে সাবলম্বী হয়েছেন এসব জেলে।মৎষচাষি কেরামত কাজী বলেন, ‘সরকার থেকে বিনামূল্যে একটি বকনা বাছুর পেয়েছি। যার ওজন ৭৩ কেজি। এই বাছুরকে পরমযত্নে লালন পালন করবো। যাতে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তণ হয়।’
মৎষচাষি গুরুদাস মালো বলেন, ‘সরকারি সহায়তায় পাওয়া বাছুরটি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। ছোট্ট একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানে এটি বড় করে তুলবো। এতে একদিকে আয় বাড়বে, অন্যদিকেন একটি বড় সম্পদও হবে। খুবই ভাল লাগছে।’ মোস্তফাপুরের আব্দুল হামিদ শেখ বলেন, ‘সরকারিভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এই বকনা বাছুর নিয়েছি। এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। খুব যত্ম করবো, ভবিষ্যতে এটি পরিবারের আয়ের উৎস হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, ‘নদ-নদীতে সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা লালন-পালন করে জেলেরা সাবলম্বী হতে পারবেন।’
মাদারীপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. হাদিউজ্জামান জানান, ৭০ কেজি ওজনের বাছুর বাছাই করে বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এই বাছুর। এটি যারা পেয়েছেন সবাই সরকারি তালিকাভুক্ত জেলে। সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তারা বাছুর নিচ্ছেন।
রাজু