
দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হলেও এখনো শুরু হয়নি করোনার পরীক্ষা।
একই অবস্থা বিভাগের অন্যান্য হাসপাতাল ও ৪০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। তবে কিটসহ অন্যান্য উপকরণ চলে এলে পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
সোমবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, করোনার প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে হাসপাতালে আধুনিক ৩০ শয্যা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবও প্রস্তুত রয়েছে। শুধু কিট আসলেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হবে।
নগরীর চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা তানিম ইসলাম বলেন, করোনার লক্ষণ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি টেস্ট করা যাবে না। ২/১ দিন পরে আসতে বলা হয়েছে।
মুলাদীর বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, করোনার লক্ষণ নিয়ে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে জানতে পারি করোনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এসেও কোনো সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাইনি। এটি খুবই দুঃখজনক।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিভাগের সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা ওয়ার্ড রেডি রাখতে বলা হয়েছে।
করোনা পরীক্ষার কিট পৌঁছানো শুধু সময়ের ব্যাপার জানিয়ে তিনি বলেন, ২/১ দিনের মধ্যেই সবখানে করোনার কিট পৌঁছে যাবে।
রাজু