
ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার আবহে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেছেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর জ্যেষ্ঠ নেতা জেনারেল মহসেন রেজায়ি। তার দাবি, ইসরায়েল যদি ইরানের উপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তবে পাকিস্তানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।
১৬ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ইরানের জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রেজায়ি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমাদের ভাই পাকিস্তান আশ্বস্ত করেছে—ইসরায়েল যদি পারমাণবিক হামলা করে, তাহলে তারাও জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করবে।”
যদিও এই দাবির পক্ষে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মেলেনি, বরং ইসলামাবাদ সূত্রগুলো এই মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে।
রেজায়ির বক্তব্য এমন সময় সামনে এল, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময় ও লক্ষ্যভেদী হামলায় উভয় পক্ষেই প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫০ জনে। তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান শুধু আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি, বরং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্যও বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এখনো বহু গোপন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রকাশ করা হয়নি।”
বিশ্বের মাত্র নয়টি দেশের হাতে বর্তমানে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। ইসরায়েল এবং পাকিস্তান—উভয়ই সেই শক্তিধর দেশের তালিকায় আছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা (আইসিএএন)-এর তথ্যানুসারে, এসব দেশের পারমাণবিক অবস্থান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় বড় প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক যুদ্ধের মতো ভয়াবহ পরিণতির হুমকি যতই উচ্চারিত হোক না কেন, বাস্তবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্তরে আরও অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। তাই তেহরানের এই বক্তব্যকে তাৎক্ষণিক হুমকি না ধরে বরং একটি কৌশলগত চাপে পরিণত করার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন অনেকে।
নুসরাত