ছবি: সংগৃহীত
আজ রাশিয়ার প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ছিল মূল শিরোনামে। এই সংকটকে কেন্দ্র করে রুশ গণমাধ্যমে নানা বিশ্লেষণ উঠে এসেছে—কেউ এটিকে রাশিয়ার জন্য সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে, আবার কেউ এতে ভবিষ্যৎ ঝুঁকির আভাস দিচ্ছে।
দৈনিক মস্কভস্কি কোমসোমোলেতস লিখেছে, “শোনার দিক থেকে যতই নিষ্ঠুর লাগুক না কেন, কৌশলগত দিক দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ থেকে রাশিয়ার জন্য কিছু ‘প্লাস পয়েন্ট’ রয়েছে।”
পত্রিকাটি বলছে, এই সংঘাতে বৈশ্বিক তেলের দাম বাড়ছে, ফলে রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ কিছুটা সরে যাচ্ছে। পত্রিকাটির ভাষায়, “কিয়েভকে সবাই ভুলে গেছে।”
ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক শীর্ষ দৈনিক কোমেরসান্ত আরও সরলভাবে ব্যাখ্যা করে লিখেছে,
“মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো উত্তেজনা ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে এবং তাদের সামরিক সহায়তা প্রদানের অগ্রাধানক্রম বদলে দিতে পারে।”
কোমেরসান্ত আরও লিখেছে, “তাত্ত্বিকভাবে রাশিয়া এই সংকটে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। পুরো সংঘাত হয়তো থামাতে পারবে না, তবে উত্তেজনা কমিয়ে নিজেকে আঞ্চলিক কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”
তবে একই সঙ্গে তারা সতর্কও করেছে:
“উত্তেজনা যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে রাশিয়ার জন্য বিপদ বাড়তে পারে। বিশেষ করে, পাঁচ মাস আগে যেই ইরানের সঙ্গে রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে, সেই দেশের ওপর ইসরায়েলের হামলা রাশিয়া ঠেকাতে পারছে না—এটা মস্কোর আঞ্চলিক ভাবমূর্তির জন্য বিব্রতকর।”
এই প্রতিবেদনের আলোকে বলা যায়, রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে একদিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে, অন্যদিকে এর ভূরাজনৈতিক ঝুঁকিও স্বীকার করছে।
ফারুক
