
বিশেষ পরিস্থিতিতে রাগের মাথায় বা ভুল বোঝাবুঝিতে তালাক দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু পরবর্তীতে দাম্পত্য সম্পর্কে সমঝোতা হলে তালাক প্রত্যাহার করে পুনরায় সংসার করার সুযোগ রয়েছে—এবং তা ঘরে বসেই সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় নেই কোনো জটিলতা, প্রয়োজন নেই ‘হিল্লা’ বিয়েরও।
তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী যদি সমঝোতায় পৌঁছান, তাহলে তারা চাইলে তালাক প্রত্যাহার করে পূর্বের মত সংসার করতে পারেন। এক্ষেত্রে নতুন করে বিয়েরও প্রয়োজন পড়ে না।
যে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে শুধু তাকে লিখিতভাবে তালাক প্রত্যাহারের ঘোষণা জানালেই যথেষ্ট। চেয়ারম্যানকে তালাক প্রত্যাহারের নোটিশ জানানো হলে, সালিশি পরিষদ চাইলে তালাক প্রত্যাহারের একটি আদেশ জারি করতে পারে। এই আদেশের সার্টিফাইড কপি স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ সিদ্ধান্ত অস্বীকার করতে না পারে।
যদি ৯০ দিনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে আপোষ-মীমাংসার ভিত্তিতে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমেই দাম্পত্য সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রেও তথাকথিত ‘হিল্লা বিয়ে’র প্রয়োজন নেই ।
তবে, স্ত্রী যদি তালাক নোটিশ পাঠানোর সময় গর্ভবতী থাকেন, তাহলে সন্তান প্রসবের আগপর্যন্ত যেকোনো সময়ে তালাক প্রত্যাহার করে সংসার করা যাবে। কিন্তু সন্তান জন্মের পর সংসারে ফিরতে চাইলে পুনরায় বিয়ে করতে হবে।
এই বিষয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও ভুল তথ্যের কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। অথচ আইনের ভাষায় তালাক প্রত্যাহার একটি সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, যা পরস্পর সম্মতিসূচক হলে ঘরে বসেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
সানজানা