
ছবি: সংগৃহীত
বাবা—একটি শব্দ, যার উচ্চারণেই ভেসে আসে নিরাপত্তা, দায়িত্ববোধ, এবং নিঃশব্দ ত্যাগের প্রতিচ্ছবি। বাবার ভালোবাসা হয়তো মায়ের মতো উচ্চকণ্ঠ নয়, কিন্তু তাঁর ত্যাগের গভীরতা এক মহাসাগরের মতো নিঃশব্দ, অথচ সীমাহীন। তাই তো বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে লেখা হয় হৃদয়ছোঁয়া গান, আবেগময় কবিতা, আর অনুপ্রেরণাদায়ী রচনা। বিশ্বের নানা দেশে যেমন মা দিবসের মতো বাবাদের সম্মান জানাতে পালিত হয় বিশ্ব বাবা দিবস, তেমনি বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
কিন্তু এও সত্য, যে দেশে বহু বাবা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের অবহেলা, অমানবিক আচরণ এমনকি নির্যাতনের শিকার হন, সেই দেশে এই দিবসটি শুধু উৎসব নয়—বরং এক গভীর আত্মবিশ্লেষণের দিন। সন্তান কর্তৃক পিতা নির্যাতনের হৃদয়বিদারক চিত্র যখন পত্রিকার পাতায় উঠে আসে, তখন “বাবা দিবস” আমাদের জন্য হয়ে ওঠে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক, প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষণীয়। এই নিবন্ধে আমরা জানার চেষ্টা করব বাবা দিবসের ইতিহাস, এর যৌক্তিকতা, বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে এর পালনপদ্ধতি এবং এই দিবস থেকে আমরা কী বার্তা নিতে পারি। কারণ, একজন বাবার উপস্থিতি কেবল একটি পরিবারের নয়, একটি সমাজেরও ভারসাম্য রক্ষা করে।
বাবা দিবসের উৎপত্তি ও ইতিহাস
বিশ্ব বাবা দিবসের পেছনে রয়েছে এক নারীর হৃদয়স্পর্শী অনুপ্রেরণা। আমেরিকার ওয়াশিংটন রাজ্যের সোনোরা স্মার্ট ডড ১৯১০ সালে প্রথম এই দিবসটির প্রস্তাব দেন। তিনি ছিলেন গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এক সাহসী সৈনিকের কন্যা, যিনি যুদ্ধ শেষে নিজের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একাই ছয়টি সন্তানকে মানুষ করেন। মা দিবস পালনের সময় সোনোরা ভাবেন, বাবাদের জন্য কেন কোনো দিবস নেই? তখন থেকেই তিনি একটি দিনকে বাবা দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানান। প্রথমবারের মতো ১৯ জুন, ১৯১০ সালে স্পোকেন শহরে বা�
লেখক: মোহাম্মদ আলী, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ড. আবদুল মজিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ, জামালপুর সদর, জামালপুর।
ফারুক