ছবি: সংগৃহীত
আজ ১৬ জুন, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বাবা দিবস’ বা ‘ফাদার্স ডে’। এই দিনটি প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। বিশেষ এই দিনে সন্তানের জীবনে পিতার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় নানা আয়োজনের মাধ্যমে।
বাবা—একটি ছোট্ট শব্দ, কিন্তু যার গভীরতা ও বিস্তৃতি বিশাল। বাবারা সন্তানের জন্য জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে হয়ে থাকেন ছায়ার মতো সহযাত্রী, অনুপ্রেরণা আর ভরসার প্রতীক। সংসারের কঠিন বাস্তবতায় নীরবে দায়িত্ব পালন করা এই মানুষটির ত্যাগ অনেক সময় দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু তার প্রভাব থাকে সন্তানের জীবন গঠনে গভীরভাবে।
বিশ্বের নানা দেশে আজকের দিনে সন্তানেরা তাদের বাবাকে শুভেচ্ছা জানায়, উপহার দেয়, কিংবা শুধুমাত্র একটু সময় কাটিয়ে জানান দেয় ভালোবাসার। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতেও বাবাকে ঘিরে পোস্ট, স্মৃতি ও কৃতজ্ঞতামূলক বার্তায় ভরে উঠেছে।
বাংলাদেশেও আজ বিভিন্ন পরিবারে ছোট পরিসরে বাবা দিবস উদযাপনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। সন্তানরা নিজ নিজ পিতাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, অনেকে আবার ঘরে বসেই বাবার প্রিয় খাবার রান্না করে চমক দিচ্ছেন।
বিশ্ব বাবা দিবসের সূচনা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৯১০ সালে, সোনোরা স্মার্ট ডোড নামের এক তরুণীর উদ্যোগে। তার বাবার স্মৃতিতে দিবসটি পালন শুরু হয়, যিনি একাই ছয় সন্তানকে বড় করেছিলেন। পরবর্তীতে এই উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
বাবা দিবস শুধু উদযাপনের দিন নয়, বরং এটা উপলক্ষ হোক বাবাদের প্রতি দায়িত্ব ও ভালোবাসার স্মরণ, তাদের কথাগুলো শোনার, পাশে থাকার।
একটি সমাজ গড়তে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একজন পিতার ভূমিকাও অবিচ্ছেদ্য। বাবা শুধু উপার্জনকারী নন, তিনি আশ্রয়, সাহস এবং নির্ভরতার প্রতীক।
আজকের দিনে আমাদের সকল বাবাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা।
ফারুক
