
ছবি: সংগৃহীত
আমরা অনেক সময় মোবাইল ফোন নির্মাতাদের দোষারোপ করি আমাদের ফোনে কোনো সমস্যা হলে। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে, বেশিরভাগ সমস্যার পেছনে দায়ী আমরাই—আমাদের অসচেতনতা, অসাবধানতা বা অতিরিক্ত চাপে ফোন ব্যবহার করাই এর কারণ। এই লেখাটি পুরোটা পড়লে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে মোবাইল ফোনকে দীর্ঘদিন ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।
১. ড্রাইভ করার সময় ফোনে কথা বলা
গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা বলা অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, “গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা মানে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মতোই ঝুঁকিপূর্ণ।”
ফোনে কথা বলতে বলতে অনেকেই ভুলে যান তারা কোথায় যাচ্ছেন বা কী করছেন। এটি খুবই গুরুতর বিষয় এবং একেবারেই অবহেলা করার মতো নয়।
২. পাসওয়ার্ড ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার করা
অনেকেই স্মার্টফোনে কোনো ধরনের পাসওয়ার্ড সেট না করেই তা পাবলিক জায়গায় রেখে দেন। এতে যে কেউ ফোন হাতে নিয়ে ইমেইল, ব্রাউজিং হিস্টোরি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখতে পারে। তাই স্মার্টফোন অবশ্যই পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া উচিত।
৩. অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা
বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায়ই অজ্ঞাত উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে থাকেন। এসব অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে ম্যালওয়্যার ঢুকে যায় এবং নানা ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি করে। কখনোই অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।
৪. অনিরাপদ নেটওয়ার্কে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা
অনেকে মনে করেন, যেহেতু স্মার্টফোন উইন্ডোজ চালায় না, তাই এটি নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ফোন যে কোনো ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কানেক্ট হতে পারে এবং সেই সংযোগ নিরাপদ কিনা, তা জানা অসম্ভব। তাই কখনোই অনিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। এতে আপনার তথ্য হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
৫. ড্রাইভ করার সময় টেক্সট করা
যদি কেউ গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা না বলেন, তবুও টেক্সট করাও সমানভাবে বিপজ্জনক। টাচস্ক্রিন ফোনে টাইপ করতে হলে ব্যবহারকারীর দৃষ্টি ফোনের ওপর রাখতে হয়। ফলে রাস্তার দিকে মনোযোগ থাকে না—যা প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এটি একপ্রকার আত্মঘাতী কাজ।
সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন। মোবাইল ফোন ব্যবহারে দায়িত্বশীল হন।
আবির