ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

২০২৫ সালের মধ্যেই বাতিল হচ্ছে এই ১০ ধরনের জমির দলিল

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৪ জুন ২০২৫

২০২৫ সালের মধ্যেই বাতিল হচ্ছে এই ১০ ধরনের জমির দলিল

ছবিঃ সংগৃহীত

ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জালিয়াতি রোধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যেই বাতিল করা হতে পারে ১০ ধরনের জমির দলিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও ২০২৩ সালের ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালার আলোকে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ, জাল দলিল ও অবৈধ দখল প্রতিরোধই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

বাতিল হওয়ার সম্ভাব্য ১০ ধরনের দলিল:
জাল দলিলভিত্তিক জমি:
যেসব জমি জাল দলিল ব্যবহার করে দখলে রাখা হয়েছে, সেগুলো খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি জমি হিসেবে পুনর্দখল করা হবে।

সরকারি খাস জমি:
বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি ব্যবহারের শর্ত লঙ্ঘন করে খাস জমি বিক্রি করে থাকেন, তাদের দলিল বাতিল করা হবে।

অর্পিত সম্পত্তি:
ভারতে চলে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ফেলে যাওয়া জমি যদি অন্যদের নামে দলিল করা হয়ে থাকে, তা বাতিল করে সরকার ওই জমি ফিরিয়ে নেবে।

দেবোত্তর ও ওয়াকফ সম্পত্তি:
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মন্দির বা ওয়াকফ বোর্ডের নামে দানকৃত জমি কেউ জাল দলিলের মাধ্যমে নিজের নামে করলে সেই দলিল বাতিল করে জমি ফেরত দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জমি বিক্রয়:
যারা নিজের মালিকানার তুলনায় বেশি জমি বিক্রি করেছেন, বিশেষ করে ওয়ারিশি জমির ক্ষেত্রে, তাদের দলিল বাতিল হতে পারে।

দাগ নম্বরের অমিল:
এক দাগে জমি কিনে অন্য দাগে দখল নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেই দলিল বাতিল হতে পারে।

অবৈধ হেবা দলিল:
অযোগ্য বা গ্রামীণ সাধারণ জনগণের নামে অবৈধভাবে করা হেবা দলিলও বাতিলের আওতায় পড়বে।

অবিভক্ত ওয়ারিশি জমি:
বাটোয়ারা দলিল বা আদালতের রায় ছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি অবিভক্ত সম্পত্তি বিক্রি করেন, সেই দলিল বাতিল করা হবে।

এক জমির একাধিক দলিল:
একটি জমি যদি একাধিকবার বিক্রি হয়ে থাকে, তবে প্রথম দলিল বৈধ হলে পরবর্তী দলিলগুলো বাতিল করা হবে।

পাওয়ার অব অ্যাটর্নির অপব্যবহার:
যারা শুধু দেখাশোনার উদ্দেশ্যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পেয়েছিলেন, কিন্তু তা ব্যবহার করে জমি বিক্রি করেছেন, তাদের দলিল বাতিল করা হবে।

সতর্কতা ও পরামর্শ
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা জমি কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের উচিত জমির কাগজপত্র, খতিয়ান, নামজারী, আদালতের রায়, বাটোয়ারা দলিল, চৌহদ্দি ও দখল সঠিকভাবে যাচাই করে কেনাবেচা সম্পন্ন করা।

সরকারের এই উদ্যোগে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×