রবিবার ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন যদি তার দেশের উপর ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ হয়, তাহলে "আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে"।
নিউ আরব রিপোর্ট অনুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি তেহরানে কূটনীতিকদের সামনে এই মন্তব্য করেছেন, শুক্রবার ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি তার প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি।
আরাঘচি বলেন, "আগ্রাসন বন্ধ হলে, আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে,"।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, যারা রবিবার ইরান জুড়ে হামলা চালিয়ে আসছে।
তেহরানের দ্রুত অগ্রসরমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার জন্য আরাঘচির উপস্থিতি এমন এক দিনে এসেছিল যেদিন তার প্রাথমিকভাবে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি আক্রমণের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যায়।
রবিবার তৃতীয় দিনের জন্য ইসরায়েল ইরান জুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং আরও বেশি শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে কারণ কিছু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে দেশের কেন্দ্রস্থলে ভবনগুলিতে আঘাত করতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর পরিকল্পিত আলোচনা, যা একটি অফ-র্যাম্প প্রদান করতে পারে, বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের আকস্মিক বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার পর এই অঞ্চল দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং কোনও পক্ষই পিছু হটার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। ইসরায়েল একটি গ্যাস স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে, যার ফলে ইরানের কঠোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জ্বালানি শিল্পের উপর আরও বড় আক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হলেই কেবল আরও ধ্বংস এড়ানো সম্ভব।
রবিবার ভোরে তেহরানে নতুন বিস্ফোরণের প্রতিধ্বনি শোনা যায় এবং দেশের অন্যান্য স্থানেও এর খবর পাওয়া যায়, তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে আগের দিন কোনও আপডেট পাওয়া যায়নি, যিনি বলেছিলেন যে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
সজিব
