ছবি: সংগৃহীত
আজ ১৫ জুন, বাবা দিবস—একটি দিন সেই মানুষটিকে স্মরণ ও সম্মান জানাবার, যিনি আমাদের জীবনের প্রতিটি বাঁকে ছিলেন একজন নায়ক, একজন পথপ্রদর্শক। শৈশবের প্রথম হাঁটা থেকে শুরু করে জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্তগুলো পর্যন্ত, বাবার ছায়া ছিল মাথার উপর নির্ভরতার প্রতীক হয়ে।
মা যেমন ভালোবাসা প্রকাশ করেন মুখে ও চোখে, বাবা ঠিক ততটাই নিঃশব্দে আমাদের জন্য জীবনকে লড়াইয়ে ব্যস্ত রাখেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস—নিজের ইচ্ছা, স্বপ্ন, চাওয়া পাওয়াকে বিসর্জন দিয়ে আমাদের জন্য গড়ে তুলেছেন আশ্রয়, নিরাপত্তা ও সাহসের এক অটুট দেয়াল।
একজন বাবা নিজের ক্লান্তি লুকিয়ে সন্তানের হাসির পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান। তিনি হয়তো কখনো বলেন না, “আমি তোমায় ভালোবাসি”, কিন্তু সন্তানের জন্য তার প্রতিটি ত্যাগ, প্রতিটি ঘামবিন্দু সেই কথাটাই নিঃশব্দে বলে দেয়।
প্রথম স্কুলের দিন বাবার হাত ধরে ক্লাসরুমে ঢোকার দৃশ্যটি আজও চোখে ভাসে অনেকের। প্রথম বার সাইকেল চালানো শিখানো, পরীক্ষার আগে সাহস জোগানো, জীবনের ভুল সিদ্ধান্তেও পেছনে থেকে সাহস দেওয়া—সব ক্ষেত্রেই বাবার ভূমিকা অমূল্য।
এই সমাজে হাজারো পিতা প্রতিদিন যুদ্ধ করছেন শুধুমাত্র সন্তানদের মুখের হাসি বজায় রাখার জন্য। এই লড়াইয়ের জন্য তারা কোনো পদক চান না, চান না কোনো প্রচার তাদের একমাত্র প্রাপ্তি সন্তানের সাফল্য, সন্তানের হাসিমুখ।
"একদিন নয়, ভালোবাসা হোক প্রতিদিন"বাবা দিবস উপলক্ষে আজ অনেকেই হয়তো বাবাকে একটি উপহার দেবেন, একটি “ধন্যবাদ” বলবেন, অথবা পুরনো ছবি পোস্ট করবেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বাবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা শুধু একদিনের জন্য নয় প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ আমরা যেন মনে রাখি, আমাদের জীবনের ছায়া হয়ে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন আমাদের বাবা, আমাদের হিরো।
শুভ বাবা দিবস ২০২৫। পৃথিবীর প্রতিটি বাবাকে জানাই শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
ফারুক
