
ছবিঃ জনকণ্ঠ
মাথার ওপরে সূর্যের তাপ, প্রখর রোদ। আবার নিচে তপ্ত মাটি এবং ভ্যাপসা গরমে গা থেকে পানি ঝরছে। এর মাঝেও ক্লান্তি নেই আনারসের রাজধানীখ্যাত টাঙ্গাইলের মধুপুরের বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের।
এখন যে গরম ও রোদ তাতে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। তবুও খোলা মাঠে দাবদাহে কাজ করে যাচ্ছেন আনারস চাষীরা। কেউ ছুটে চলছেন খড় হাতে নিয়ে আনারসকে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করতে, আবার কেউ দিচ্ছেন আনারসের গ্রোথ বৃদ্ধিকরণ মেডিসিন, জৈব বালাইনাশক, ট্রাইকোডার্মা সার, সয়েল কেয়ার।
আনারসের উৎপাদন মৌসুম এখন। মধুপুরের আনারস চাষি, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোর থেকে রাত অবধি ব্যস্ত সময় পার করছেন। মধুপুরের জলছত্র, মোটের বাজার, গারোবাজারে আনারসের হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। সকাল থেকেই সাইকেল, ভ্যান, রিকশা, অটোবাইক আর ঘোড়ার গাড়িতে করে বাজারে আনারস নিয়ে আসছেন চাষিরা। দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসা পাইকাররা আনারস কিনে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, হরমোন ও ক্ষতিকারক ঔষধ মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ বন্ধে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব ঔষধের ক্ষতিকারক দিক আনারস চাষিদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিষমুক্ত আনারস চাষে ব্যাপকভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছরের চেষ্টার ফলে চাষিরা বিষাক্ত কেমিকেল ব্যবহার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এসব কারণে গেল বছরের চেয়ে উন্নতমানের আনারসের উৎপাদন এবার বেশি হয়েছে।
আলীম