ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

দোহারে ককটেল হামলা: দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১৬ জুন ২০২৫

দোহারে ককটেল হামলা: দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬ জন

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার জেরে সোমবার দুপুরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া গ্রামে সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দোহার সুন্দরীপাড়া এলাকার রাশেদের নেতৃত্বে জামিল, জুম্মন ও আসিক সোমবার দুপুরে সুন্দরীপাড়া ক্লাবের কাছে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। এ সময় ওই এলাকার আমজাদ মোল্লা (৭৫) নুরুল্লাপুর দরবার শরীফ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে রাস্তায় আটকে অপমান করে রাশেদসহ কয়েকজন। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমজাদ মোল্লার ভাগনে নাজমুল, অভি, রাতুল, রবি মোল্লা এবং ছেলে সাইফুলসহ কয়েকজন সেখানে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালায় রাশেদের লোকজন। এ সময় প্রায় ১৫–২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। ককটেলের শব্দে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তাঁরা হলেন নাজমুল এবং রাশেদের পক্ষের আসিক। বাকিরা দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে আমজাদ মোল্লা বলেন, “দুপুরে রাশেদের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং আমাকে রাস্তায় আটকে দেয়। পরে খবর পেয়ে আমার স্বজনরা সেখানে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং ককটেল ফোটায়। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।”

এ বিষয়ে মো. রাশেদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দোহার থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুন্নবী বলেন, “খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। উভয় পক্ষই মামলা করবে বলে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সজিব

×