
ছবিঃ সংগৃহীত
পায়ের গোড়ালি, হিল কিংবা বুড়ো আঙুলের নিচে হঠাৎ ব্যথা অনুভব করছেন? তাহলে সাবধান! এটি হতে পারে শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক এসিডের ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ ব্যথা ভেবে উপেক্ষা করা হয়। অথচ এই ব্যথা হতে পারে 'গাউট' নামক এক বিপজ্জনক আর্থ্রাইটিসের পূর্বাভাস।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পেশেন্টরা প্রথমেই যান জেনারেল প্র্যাকটিশনার বা ফ্যামিলি চিকিৎসকের কাছে। সেখান থেকেই ইউরিক এসিড টেস্টের পরামর্শ দেওয়া হয়। দেখা গেছে, পায়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা বা ইনফ্ল্যামেশনজনিত সমস্যার পেছনে ইউরিক এসিডই মূল অপরাধী।
ইউরিক এসিড বাড়ে কেন?
শরীরে প্রোটিন বা পিউরিন মেটাবলিজমের ফলে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। এটি শরীর থেকে সঠিকভাবে নির্গত না হলে জয়েন্টে জমে গিয়ে ব্যথা সৃষ্টি করে। সাধারণত দুইভাবে ইউরিক এসিড বেড়ে যেতে পারে—
-
ওভার প্রোডাকশন (অতিরিক্ত উৎপাদন)
-
আন্ডার এক্সক্রিশন (কম নির্গমন)
বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ মানুষই ‘ওভার প্রোডিউসার’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, তাদের শরীরে ইউরিক এসিড অস্বাভাবিকভাবে বেশি পরিমাণে তৈরি হয়।
কী খাবেন না?
নিচের খাবারগুলো ইউরিক এসিড বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে:
-
রেড মিট (গরু, খাসি)
-
টমেটো
-
কাঁচা পেঁয়াজ
-
লাল শাক ও অতিরিক্ত গ্রিন লিফি ভেজিটেবলস
-
অ্যালকোহল, বিশেষ করে বিয়ার
এইসব খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ইউরিক এসিডের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে।
কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে?
-
যারা উচ্চ প্রোটিন ডায়েট মেনে চলেন
-
যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে
-
ডায়াবেটিক রোগীরা
-
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে
তাদের ক্ষেত্রে ইউরিক এসিড শরীরে সঠিকভাবে বের হতে না পারায় ‘আন্ডার এক্সক্রিশন’ দেখা দেয়।
করণীয় কী?
পায়ের আঙুল, গোড়ালি বা হিলের কাছে ব্যথা হলে হালকাভাবে নেবেন না। দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ইউরিক এসিড টেস্ট করিয়ে নিন। নিজের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন এবং প্রোটিন গ্রহণে সতর্ক হোন।
স্বাস্থ্য সচেতনতায় সচল থাকুন, ব্যথাকে অবহেলা নয়— সতর্কতাই সুরক্ষা।
ইমরান