
প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ধুলাবালি, ফুলের রেণু, ঠান্ডা-গরমের পরিবর্তন কিংবা কিছু নির্দিষ্ট খাবারের কারণে অ্যালার্জিতে ভোগেন। হাঁচি, কাশি, চোখ চুলকানো, ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি কিংবা শ্বাসকষ্ট—এগুলো অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণ। ওষুধের পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং অ্যালার্জির প্রকোপ কমে যায়।
চলুন জেনে নিই এমন ১০টি খাবার যা অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে:
🥦 ১. ব্রোকলি
ব্রোকলিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ও ভিটামিন সি, যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায় এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।
🍊 ২. কমলা, লেবু ও মালটা
সাইট্রাস ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি শরীরের হিস্টামিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে কার্যকর।
🐟 ৩. চর্বিযুক্ত মাছ (সালমন, ম্যাকারেল)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমায়।
🍯 ৪. কাঁচা মধু
বিশেষ করে স্থানীয় মৌচাকের মধু খেলে পরিবেশগত অ্যালার্জির বিরুদ্ধে সহনশীলতা তৈরি হতে পারে।
🍓 ৫. বেরি ফল (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি)
এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
🥬 ৬. পালংশাক
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পালং শাক ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
🧄 ৭. রসুন
রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন, যা অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
🌰 ৮. বাদাম ও বীজ (আলমন্ড, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড)
ওমেগা-৩ এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো দেহে প্রদাহ প্রতিরোধ করে এবং ইমিউন ফাংশন উন্নত করে।
🌶️ ৯. হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা অ্যালার্জি উপসর্গ কমায় এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে।
🍵 ১০. গ্রিন টি
গ্রিন টি শরীরে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে এনে অ্যালার্জির লক্ষণ হ্রাস করতে পারে।
অ্যালার্জি হলে শুধুমাত্র ওষুধের ওপর নির্ভর না করে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
আঁখি