ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

কলেজের জমি নিয়ে উত্তাল নীলফামারীর সরকারি কলেজ, স্মারকলিপি প্রদান

সোহেল রানা, নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৮:০১, ১৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:০৩, ১৬ জুন ২০২৫

কলেজের জমি নিয়ে উত্তাল নীলফামারীর সরকারি কলেজ, স্মারকলিপি প্রদান

ছবি: জনকণ্ঠ

নীলফামারী সরকারি কলেজের জমি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তির কাছে হস্তান্তর না করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে এক বিক্ষোভসভা করে তারা। পরে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কলেজের ৩৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এই জমিতে ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও জানা গেছে, জমিটি ভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তিকে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, যদি শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে কলেজের নিজস্ব জমি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তবে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

বিক্ষোভসভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তফা মুহাম্মদ শ্রেষ্ঠ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কলেজ শাখার সদস্য সচিব পায়েলুজ্জামান রক্সি, ইসলামী ছাত্র শিবির কলেজ শাখার সভাপতি হাসান আলী, এবং ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ সৈকত ও রাইসুল ইসলাম রানা।

ছাত্রদল নেতা পায়েলুজ্জামান রক্সি বলেন, “কলেজের জমি হস্তান্তর করা হলে শুধু ছাত্রাবাস নয়, অবকাঠামোগত বিভিন্ন সংকটে পড়বে কলেজ। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের ওপর।”

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী হাজেরুল ইসলাম জানান, “আমরা আমাদের নিজস্ব ভবন স্থাপনের পরিকল্পনা করছি। মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় ভবন করার নির্দেশনা রয়েছে, সে কারণে কলেজের ওই জায়গাটি প্রাথমিকভাবে পছন্দের তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।”

কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “কলেজের জমির পরিমাণ অপ্রতুল। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভবন না করার জন্য কলেজ পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”

শহীদ

×