
মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলের তেল আবিব শহরের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আল-জাজিরা জানায়, নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ‘অবিলম্বে’ সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে ইসরাইলও তেহরানের একটি বড় অংশের মানুষকে সতর্ক করে জানিয়েছিল, সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানো হবে। আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি এক্স প্ল্যাটফর্মে বলেন, “আগামী ঘণ্টাগুলোতে তেহরানে অভিযান চলবে, আগের দিনের মতোই।
এই অভিযানের লক্ষ্য ইরানের সামরিক অবকাঠামো বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার রাতেই ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার কিছু সময় আগেই ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন অদৃশ্য হতে চলেছে।” সংক্ষেপে প্রচারিত এক ঘোষণায় ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম জানায়, তারা বর্তমানে ইসরাইলি হামলার টার্গেট।
ইসরাইলের হামলার লক্ষ্য হয়েছে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহর ফারাবি হাসপাতালও। ইরানি সংবাদমাধ্যম ফারস ও তাসনিমের ভিডিও ফুটেজের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, হামলায় হাসপাতালটির একটি অংশ ধসে পড়ে এবং বেশ কয়েকজন রোগী আহত হন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে। মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। ইতিহাস এর বিচার করবে। যারা এই হামলাকারী শাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের জন্য চিরস্থায়ী লজ্জা অপেক্ষা করছে।”
বর্তমানে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। দুই পক্ষই সরাসরি একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিস্থিতি এখন যেকোনো সময় আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
মিমিয়া