
.
২০২৩ এশিয়া কাপ এবং ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু চিরশত্রু ভারত সেখানে খেলতে না যাওয়ায় ‘হাইব্রিড’ মডেলে এশিয়া কাপে তাদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুবাইয়ে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতে শুরু হচ্ছে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। শর্ত অনুযায়ী এবার ভারতে খেলতে যাবে না পাকিস্তান। ফলে তাদের ম্যাচগুলো হবে শ্রীলঙ্কায়। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে আট দলের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ভারতের চারটি মাঠের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার একটি মাঠে হবে খেলা। কলম্বোর সেই আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে পাকিস্তান। এই মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচ হবে সব মিলিয়ে ১১টি, যার চারটি শ্রীলঙ্কার। ভারতের চার ভেন্যু হলো বেঙ্গালুরুর চিন্মাস্বামী স্টেডিয়াম, গোহাটির এসিএ স্টেডিয়াম, ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তমের এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম।
আগামী ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান।
৭ অক্টোবর গোয়াহাটিতে নিগার সুলতানাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ তাদের পরের তিনটি ম্যাচ খেলবে বিশাখাপত্তমে। এখানে ১০ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড, ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে তারা। এরপর আবার কলম্বোয় ফিরবে বাংলাদেশ, সেখানে ২০ অক্টোবর তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। সোমবার আইসিসি বিশ্বকাপের সুচী প্রকাশের সামাজিক মাধ্যমে ছবি দিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের অনেক খেলোয়াড়। তবে বস্তাবতা হচ্ছে, বিশ্বের আর সব বড় দেশ যেখানে নিজেদের মধ্যে দিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে, সেখানে জ্যোতিদের কেবল কক্সবাজার আর মিরপুরে অনুশীলন করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এই মাঠেই ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১ অক্টোবর ইন্দোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। কলম্বোয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচটি হবে ৫ অক্টোবর। আগামী ২৯ অক্টোবর প্রথম সেমি-ফাইনাল হবে গোয়াহাটি অথবা কলম্বোয়। ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুতে।
প্যানেল