
ছবিঃ জনকণ্ঠ
দোকানের ভিতরে ঝুলছে ২৬০ রকমের বাহারী স্বাদের চায়ের নাম এবং মূল্যসহ তালিকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলাধীন শাহবাজপুর প্রথম গেটে আশিকুর রহমানের চায়ের দোকান। তার চায়ের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের জেলাগুলোতেও। তাই প্রতিদিন বাহারি চায়ের স্বাদ নিতে আসেন শত শত মানুষ।
প্রতিদিন সকাল থেকেই তার দোকানে মানুষের আনাঘোনা দেখা যায়। আর সন্ধ্যার হয়ে এলেই বাড়তে থাকে মানুষের ভীড়। তবে শুক্রবার এবং শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে অন্যদিনের তুলনায় মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্ব্বোচ্চ ১৫০ টাকা মূল্যের চা মিলে তার দোকানে। সকাল ৯টা থেকে রাত ১২-১টা পর্যন্ত চলে তার বেচাকেনা। দুবাই, সৌদি আরব থেকে শুরু করে দিল্লি, তামিলনাড়ু, কলকাতাসহ ইরানের বিখ্যাত চা পাওয়া যায় তার দোকানে।
বাবা মারা যাওয়ার পর ৫ বোন এবং ২ ভাইয়ের পরিবারের হাল ধরেন আশিক। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর পড়তে পারেননি। এরপর ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে শুরু করেন চায়ের ব্যবসা।
আশিকুর রহমান জানান, ২০০৬ সালে ব্যবসা শুরু করেছি। একের পর এক বাড়াতে বাড়াতে এখন ২৬০ রকমের চা পাওয়া যায় আমার এখানে। তবে মালাই চা, কাজুবাদাম চা, শাহী কাজুবাদাম চা, রাজকীয় চা, চকোলেট কাজুবাদাম চা, মাল্টা চা, তেঁতুল চা এগুলো বেশি চলে। ছোট্ট একটা টং দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ আজ আমার এখানে ৬/৭ জন কর্মচারীও আছে।
আশিক আরও জানান, অল্প পুঁজিতে চায়ের ব্যবসা দেওয়া যায় এই চিন্তা থেকেই চায়ের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ইউটিউব থেকে বিভিন্ন দেশের চায়ের রেসিপি এবং নিজের আইডিয়ার মাধ্যমে চা বানানো শিখেন আশিক।
চা খেতে আসা আশিকুর রহমান আশিক বলেন, আমি প্রতিদিনই এখানে চা খেতে আসি। আমার কাছে লেমন চা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। চায়ের দামও বাজেটের মধ্যেই। এটা এখন সুনামধন্য এলাকার মতো হয়ে গেছে। ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ চা খেতে আসে।
আলীম