ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ইমরানের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)

প্রকাশিত: ১৮:১০, ১৬ জুন ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ইমরানের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ইমরান হোসেন (২৮) শুক্রবার রাত ১২টার দিকে গাজীপুরের ভাড়া বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে রাতেই তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহনপুর গ্রামে এনে শনিবার দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ইমরানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিএনপির সাবেক বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন কমিটির সদস্য ও নান্দাইল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরীর নির্দেশে সোমবার দুপুরে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মোহনপুর গ্রামে যায়। তারা ‘শহীদ ইমরান’-এর কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেন।

এ সময় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নান্দাইল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লিটন। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু তাহের সরকার, ফুরকান উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, মুশুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, বিএনপি নেতা এনামুল হক, ফরিদ আহমেদ খোকন এবং শহীদ ইমরানের বাবা ইসলাম উদ্দিনসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

এই বিষয়ে মিজানুর রহমান লিটন দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, “ইমরান ছিলেন একজন জুলাই যোদ্ধা। সৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমাদের নেতা ইয়াসের খান চৌধুরীর নির্দেশে আমরা তার কবর জিয়ারত করতে এবং পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছি।”

উল্লেখ্য, ইমরান প্রায় ৭ বছর ধরে গাজীপুরের তারগাছ এলাকায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত ২৮ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আতঙ্কের কারণে তিনি সেখান থেকে গোপনে চলে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও শরীর থেকে বের করা গুলির যন্ত্রণা কমেনি। এমন অবস্থায় কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।

সজিব

আরো পড়ুন  

×