ছবিঃ সংগৃহীত
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাসুদ রানা।
কথায় আছে “ভালো হয়ে যাও মাসুদ”, কিন্তু সেই মাসুদ এখনো ভালো হলো না। যদিও একই ব্যক্তির একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু অপরাধ হলেও জনপ্রতিনিধিই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একাধিকবার ভোটার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্র ঘেঁটে জানা যায়, মো. মাসুদ রানার জন্মতারিখ ১৯৮৪ সালের ১০ এপ্রিল। তার বাবা-মায়ের নাম রহমত আলী ও হাজেরা বেগম। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৯১৪৬……। ভোটার হওয়ার এলাকা চখারচর, হাতিভাঙ্গা।
অন্যদিকে মাসুদ রানা নামে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আরেকটি ভোটার নম্বর ৯১৫৮... পাওয়া গেছে। সেখানে তার বাবার নাম ঠিক রেখে মায়ের নাম হাজেরা বেগম-এর পরিবর্তে হাজরা সুন্দরী এবং জন্মতারিখ ১৯৯৭ সালের ০১ জানুয়ারি দেওয়া হয়েছে। ভোটার এলাকাও পরিবর্তন করে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের চখারচরের ভোটার হয়েছেন।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী আরও জানা যায়, এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকা ও নির্বাচনের হলফনামায় ভিন্ন জন্মতারিখের বিপরীতে পাওয়া একটি ভোটার নম্বর অনুযায়ী মো. মাসুদ রানা সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেন।
জানা গেছে, এভাবে ভেলকিবাজিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের জন্য ঐ দুটি এনআইডি ব্যবহার করে নানারকম সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি ইউপি সদস্য মো. মাসুদ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার নামীয় দুটি এনআইডি রয়েছে। আপনারা সংবাদ প্রকাশ করে কী করতে পারেন, করেন।”
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউর রহমান বলেন, “বিষয়টি যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, আমি সেভাবে ব্যবস্থা নেব। তবে একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার হওয়া আইনসিদ্ধ নয়।”
ইমরান
