ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

সুস্থতার জন্য ফিজিওথেরাপি

ডা. এম ইয়াছিন আলী

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১৬ জুন ২০২৫

সুস্থতার জন্য ফিজিওথেরাপি

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমেই সুস্থতা সম্ভব হয়

হজের সময় বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপের কারণে শরীরে নানা ধরনের শারীরিক চাপ পড়তে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে, শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে নানা প্রকার ধর্মীয় কর্ম সম্পাদন করতে হয়, যা পেশি ও হাড়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণেই হজ বা ওমরার পরে করণীয় ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণের কিছু বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে:
হজের পরে ফিজিওথেরাপি:
হজের পরে ফিজিওথেরাপি আপনাকে শারীরিকভাবে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। যেমন পেশি শক্তিশালী করা এবং শরীরের নমনীয়তা হয়। যে কারনে  ফিজিওথেরাপির মাধ্যমেই সুস্থতা সম্ভব হয়, যা দীর্ঘ হাঁটা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমের কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
দেহের ভারসাম্য বজায় রাখা:
ফিজিওথেরাপি পেশিগুলোর সমন্বয় এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যাদের হাঁটুর বা কোমরের সমস্যা রয়েছে।
শারীরিক সমস্যা নিরাময়: 
আগে থেকেই যাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেমন আর্থ্রাইটিস, পিঠে ব্যথা, বা হাঁটুর সমস্যা, তারা ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে উপযুক্ত শারীরিক অবস্থায় ফিরে  আসতে পারে।
হজ চলাকালীন সময়ে যে সমস্যা হয়
তোয়াব করে বাসায় গিয়ে গরম পানি দিয়ে গোছল করে নিতে পারেন, বেশি ব্যথা হলে ছেক নেয়াও যাবে। কাঁদে করে বেশি ওজনের জিনিস পএ বহন না করা ভালো। আধা ঘণ্টা পর পর কিছুটা বিরতি নিয়ে আবার তোয়াব করতে হয়। নামাজ আদায়ে খুব বেশি প্রয়োজনে চেয়ার পেতে পড়তে পারেন। বা পজিশন চেঞ্জ করে করে।
ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন 
ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করা: হজ শেষে পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা এবং ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। ফিজিওথেরাপি এই ব্যথা ও ক্লান্তি নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
পুনর্বাসন:
যাদের হজের সময় শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেমন পেশির টান, জয়েন্টের আঘাত, তাদের জন্য ফিজিওথেরাপি পুনর্বাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
শরীরের নমনীয়তা ফিরিয়ে আনা: 
দীর্ঘ শারীরিক কার্যকলাপের কারণে পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে, ফিজিওথেরাপি এই শক্ত পেশিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
সার্বিক উপকারিতা:
ক্স পেশির শক্তি ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ক্স শরীরের গতিশীলতা এবং নমনীয়তা বাড়ায়।
ক্স দীর্ঘ সময়ের শারীরিক চাপের পর শরীরের পূর্ণ পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করে।
ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সঠিক অনুশীলন অনুসরণ করলে পরবর্তীতেও ওমরাহ বা হজের সময় শারীরিক সমস্যাগুলো সহজেই এড়ানো সম্ভব।
লেখক: চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল। আ/এ, ধানমন্ডি , ঢাকা । হটলাইন: ০১৭৮৭১০৬৭০২

 

 

 

×