ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত বাজারে দুটি ধরনের ডিম পাওয়া যায়—লাল ডিম ও সাদা ডিম। অনেকেই মনে করেন, লাল ডিম বেশি পুষ্টিকর বা বেশি ভালো। আবার কেউ কেউ সাদা ডিমকেই বেশি স্বাস্থ্যসম্মত মনে করেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের রঙ নয়, এর ভেতরের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে মুরগির খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশের ওপর।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের খোসার রঙ মূলত নির্ধারিত হয় ডিম পাড়া মুরগির জাত ও জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে। লাল খোশাযুক্ত ডিম সাধারণত ‘ব্রাউন লেয়ার’ জাতের মুরগির আর সাদা ডিম ‘হোয়াইট লেয়ার’ জাতের মুরগির হয়ে থাকে। দুই ধরনের ডিমেই প্রায় সমপরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও চর্বি থাকে। তবে মুরগির খাদ্যতালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ডি বা অন্য কোনো উপাদান যোগ করা হলে সেসব পুষ্টি উপাদান ডিমেও প্রতিফলিত হতে পারে।
অনেকে দাবি করেন, দেশি মুরগির লাল ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশি মুরগি সাধারণত খোলা মাঠে নানা ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য খায়, ফলে সেসব ডিমে কিছুটা ভিন্ন পুষ্টিগুণ থাকতে পারে। তবে সেটি খোসার রঙের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং খাদ্য ও পরিবেশের কারণে হয়ে থাকে।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ—ডিম কেনার সময় খোসার রঙ নয়, বরং সতেজতা ও সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সাদা বা লাল—উভয় ধরনের ডিমই সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও রান্না করলে শরীরের জন্য উপকারী।
সুতরাং, লাল ডিম হোক কিংবা সাদা ডিম—পুষ্টিগুণে তাদের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। স্বাস্থ্যের জন্য দুটোই সমান উপকারী।
মিরাজ খান
