
ছবি: সংগৃহীত
৩৬ বছর বয়সী রায়ান গ্রিউয়েল সম্প্রতি তার অবিশ্বাস্য ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি একসাথে ১২৪ কেজি (প্রায় ২৭৫ পাউন্ড) ওজন ঝরিয়েছেন। একসময় তার ওজন ছিল প্রায় ২২২ কেজি। নিজের এই পরিবর্তনের পেছনে তিনি কৃতিত্ব দেন সাইকেল চালানো, ক্যালোরি হিসাব করে খাওয়া এবং প্রোটিনকেন্দ্রিক খাদ্যাভ্যাসকে। চলুন জেনে নিই তার এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস টিপস।
কীভাবে রায়ান কমালেন ১২৪ কেজি ওজন
Newsweek-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রায়ান জানান, কেমন ছিল তার স্থির জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস—প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০ ক্যালোরি গ্রহণ ও প্রতিনিয়ত ফাস্ট ফুড খাওয়া, যার ফলে ওজন বেড়েই চলেছিল। তার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন এক চিরোপ্র্যাকটর, যিনি তাকে বলেন, যদি ওজন না কমান, তাহলে জয়েন্টের সমস্যা আরও খারাপ হবে। রায়ান বলেন, "তখন আমার ওজন ছিল প্রায় ৪৭৫ পাউন্ড। আরও ১২ পাউন্ড বেড়ে যাওয়ার পর ভাবলাম, এবার কিছু একটা বদলাতে হবে।"
প্রথমে তিনি হেঁটে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু হাঁটুর ব্যথা সহ্য করতে পারেননি। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন সাইকেল কেনার। হাঁটার চাপ এড়াতে শুরু করলেও ধীরে ধীরে সাইকেল চালানো হয়ে ওঠে তার নেশা। তিনি বলেন, "সাইকেল চালানো আমাকে আমার শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর তখন থেকেই আমি পুরোপুরি আসক্ত হয়ে পড়ি।"
‘সাইকেল চালানোই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন’
শুরুর দিকে সাইকেল ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন রায়ান। কারণ সেগুলো তার ওজন সহ্য করার মতো ছিল না। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। অবশেষে এমন একটি বাইকে বিনিয়োগ করেন, যা তার ওজন সহ্য করতে পারে এবং যেটি দিয়ে তিনি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারেন—কখনো কখনো এক দিনে ১০০ মাইলের বেশি।
তিনি বলেন, সাইকেল চালানো শুধু শরীরচর্চা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারেও বড় ভূমিকা রেখেছে। "সাইকেল চালানোই এমন একটি কাজ যা আমার শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই সবচেয়ে বেশি উপকার করেছে।"
মানসিক দৃঢ়তা ও জীবনের পরিবর্তন
রায়ানের এই যাত্রা কেবল শারীরিক রূপান্তরের গল্প নয়, বরং এটি এক গভীর আত্ম-উন্নয়নের প্রতিফলন। তিনি বলেন, "এই যাত্রার মধ্য দিয়ে আমি আরও দৃঢ়, সজাগ এবং দায়িত্বশীল মানুষ হয়ে উঠেছি—ভালো স্বামী, বাবা ও নেতা হতে পেরেছি। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, এই পরিবর্তন আমাকে একজন ভালো মানুষে পরিণত করেছে।"
আবির