
ছবি: সংগৃহীত
এক সময় বলা হতো, “শিখো কোডিং, গড়ো ভবিষ্যৎ।” কিন্তু সেই কোড শেখার হিড়িক এখন উল্টো ফল দিচ্ছে। নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকদের মধ্যে বেকারের হার এখন সবচেয়ে বেশি— এমনকি সাংবাদিকতার গ্র্যাজুয়েটদের চেয়েও খারাপ।
তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ। তুলনায়, সাংবাদিকতায় এই হার কিছুটা কম। তবে সবচেয়ে সংকটে রয়েছেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা— তাদের বেকারত্বের হার ৭.৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতির পেছনে কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে— চাকরির বাজারে অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা, এন্ট্রি-লেভেল চাকরির হ্রাস, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দ্রুত বিস্তার। অনেক কোম্পানি এখন নতুন প্রোগ্রামার না নিয়ে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।
মানবসম্পদ বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন আর কেবল কোড শেখা যথেষ্ট নয়। ভালো চাকরি পেতে হলে প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা। অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাজেট কমিয়ে ফেলেছে, ফলে নতুন নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমরা কোড শেখার পেছনে স্বর্ণের খনি খুঁজেছি, কিন্তু যখন সবাই কোড শেখা শুরু করল, তখন সেই সোনা ফুরিয়ে গেল।” ফলাফল? হাজার হাজার তরুণ প্রোগ্রামার আজ হতাশ। কেউ কেউ তো জীবিকা চালাতে রক্ত বা প্লাজমা বিক্রিও করছেন।
এই পরিস্থিতি প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সতর্ক সংকেত হয়ে উঠেছে— শুধু কোড জানলেই আর চাকরি মিলবে না, প্রয়োজন বাস্তব দক্ষতা ও কৌশল।
সূত্র: নিউজউইক
এম.কে.