
ছবি: সংগৃহীত
চলমান স্বাস্থ্যঝুঁকি, শিক্ষাজীবনের অস্থিরতা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এইচএসসি ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৬ জুন) বেলা ১১টায় ঢাকায় শিক্ষা বোর্ডের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা। একই সময় সারাদেশের বিভিন্ন বোর্ড অফিস ও জেলা সদরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে একযোগে অংশ নেবে।
বৃহৎ এই কর্মসূচির পেছনে রয়েছে চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এবং সঠিক প্রস্তুতির অভাবে অনিশ্চিত পরীক্ষার সম্ভাবনা। শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা পরীক্ষার বিরোধিতা করছে না, বরং চায় একটি পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট পরীক্ষাব্যবস্থা যেখানে স্বাস্থ্যবিধি, সিলেবাস-সংকোচন এবং ক্লাসে পাঠদানের বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে আমাদের কলেজ শুরু হলেও প্রথম ছয় মাসে আমরা ফুল সিলেবাস ধরে প্রস্তুতি নিই। পরে আচমকা শর্ট সিলেবাস ঘোষণা করা হয়, যার অধিকাংশই আমাদের পড়া বিষয়বস্তুর বাইরে। তার ওপর নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯ মাস শ্রেণিকক্ষে ক্লাস হয়নি। আবার জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি, যার ফলে আমরা প্রায় তিন মাসের মত ঠিক ভাবে পড়াশুনা করতে পারি নি।’
এছাড়া তারা অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, পরীক্ষা চলমান অবস্থায় যদি আরও তীব্র আকার ধারণ করে আর তখন যদি হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হয় বা স্থগিত হয়, সেটাও আমাদের জন্য বড় ধরনের মানসিক বিপর্যয় তৈরি করবে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও উপসর্গ স্পষ্ট না থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় যদি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করে পরিস্থিতি অবনতি ঘটে এবং পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে তা হবে মারাত্মক অব্যবস্থাপনার দৃষ্টান্ত, যা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিকভাবে আরও বিপর্যয় করে তুলবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বান, পরীক্ষা হোক কিন্তু তা হোক পূর্বপ্রস্তুতি, স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে। এইচএসসি মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় আর কোনো বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা দেখতে চায় না শিক্ষার্থীরা।
টি এম মারুফ জামান মাহী/রাকিব