মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময়সীমা আরও দীর্ঘ হতে চলেছে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন ও ইসরায়েলি শীর্ষ কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারা জানান, এই সংঘাত ‘কয়েক সপ্তাহ’ অব্যাহত থাকতে পারে।
টাইমস অব ইসরায়েল রোববার (১৫ জুন) জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানে হোয়াইট হাউসের নীরব সম্মতি রয়েছে। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই দীর্ঘমেয়াদি সময়সীমা নিয়ে একমত হয়েছেন।”
এক মার্কিন কর্মকর্তার ভাষায়, “ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে, এই সংকটের সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। তবে ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে সংঘাত কতটা দীর্ঘ হবে।”
ইরানের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদোম।
হাসপাতালভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী:
- উলফসন মেডিকেল সেন্টার, হোলোন: ৬৫ জন ভর্তি; এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ৭ জন মাঝারি, বাকিরা হালকা আহত।
- শামির মেডিকেল সেন্টার, বিয়ার ইয়াকভ: চিকিৎসাধীন ২৮ জন; ১ জন গুরুতর, ১ জন মাঝারি, ২০ জন হালকা ও ৬ জন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
- শেবা মেডিকেল সেন্টার, তেল হাশোমের: ৩৭ জন হালকা থেকে মাঝারি আহত।
- আসুতা মেডিকেল সেন্টার, আশদোদ: চিকিৎসাধীন ৫ জন; ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তেল আবিবের কাছে বাট ইয়াম শহরে এক আবাসিক ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভবনটি ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেখানে এখনো প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ, যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলছে সময়ের বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে।
বাট ইয়াম শহরটি তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত এবং তেল আবিব মহানগরের অংশ। সেখানে ইরানের এই হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ও পরমাণু অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ছুড়ে দেয় শত শত ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত এখনই থেমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং এটি আরও বিস্তৃত ও দীর্ঘায়িত হতে পারে, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
মিমিয়া
