ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

আঘাত করলে জবাব আসবেই, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান

প্রকাশিত: ১৯:১০, ১৫ জুন ২০২৫

আঘাত করলে জবাব আসবেই, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান

পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান একমাত্র নিজেদের সামরিক শক্তির ওপরই নির্ভর করে।

রবিবার তেহরানে রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আবারও প্রমাণ করেছে—ইরানের আত্মনির্ভরতা ও সামরিক সক্ষমতার নীতিই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত।”

ইসরায়েলের আগ্রাসনের মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা মোকাবিলায় ইরান একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান আরাকচি।

তিনি বলেন, তিনি নিজে জাতিসংঘ মহাসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের দাবি জানায়। যদিও ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ইসরায়েলবিরোধী কোনো প্রস্তাব পাস হয়নি।

আরাকচি আরও জানান, ইরান ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নর্স-এর জরুরি অধিবেশনের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কোনো দেশের পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা হলে তা অবশ্যই বিশ্বব্যাপী কঠোর নিন্দা পেতে হবে। তা না হলে বিশ্বে আগ্রাসনের সংস্কৃতি উৎসাহিত হবে।”

তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইরান কখনোই কূটনৈতিক পথ ত্যাগ করেনি। “ইরান ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বন্দ্ব সমাধানের নীতিতে বিশ্বাসী জাতি,” বলেন তিনি।

আঞ্চলিকভাবে ইরানের প্রতি সমর্থন:
আরাকচি আরও জানান, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশগুলোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট ও সংহত। তারা একসাথে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

“আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ঘনঘন কূটনৈতিক যোগাযোগ হচ্ছে, এবং আমরা দৃঢ়ভাবে একত্রিত হয়ে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে বোমাবর্ষণ করে। এই হামলায় আবাসিক ভবনও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, যা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

এই হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি বলেন, “ইসরায়েল নিজের জন্যই এক তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক ভবিষ্যৎ লিখে দিয়েছে।”

Jahan

×