ছবিঃ সংগৃহীত
গ্রীন টি নিয়মিত পান করলে তা লিভারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে—এমনটাই জানিয়েছেন খ্যাতনামা গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. জোসেফ সালহাব। তিনি বলেন, মাত্র ১০ দিন থেকে দুই সপ্তাহ নিয়মিত গ্রীন টি পান করলেই অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ে এবং লিভার সুরক্ষিত থাকে।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কার্যকর
ড. সালহাব বলেন, “গ্রীন টি পান করার অভ্যাস শুরু করলে আপনি এর স্বাদ উপভোগ করতে শিখবেন। কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়, লিভারকে রক্ষা করে এবং এমনকি ফ্যাটি লিভারের অগ্রগতিও ধীর করে দিতে পারে।”
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ গ্রীন টি
গ্রীন টি-তে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ক্যাটেচিন নামক উপাদান, যা লিভারে জমে থাকা চর্বি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
হৃদ্যন্ত্র, স্মৃতি ও আয়ু বৃদ্ধিতেও সহায়ক
ড. সালহাব আরও জানান, গ্রীন টি শুধু লিভারের জন্য নয়, এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। তাঁর ভাষায়, “গ্রীন টি-তে কফির তুলনায় কম ক্যাফেইন থাকে, এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মিন্ট বা জ্যামিন দিয়ে পান করতে পছন্দ করি।”
গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে আরও উপকারিতা
বড় আকারের জনস্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে—নিয়মিত গ্রীন টি পানকারীদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও সব ধরনের মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম। আর মানবভিত্তিক ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে, মাত্র ১০–১৪ দিনেই গ্রীন টি অন্ত্রে Bifidobacteria ও অন্যান্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে হবে, এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যভিত্তিক এবং এটি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ নয়। স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
নোভা
