ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

বণিক সমিতিকে সম্মানের জায়গায় নিতে চাই: সাইফুল ইসলাম মুরাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১৫ জুন ২০২৫

বণিক সমিতিকে সম্মানের জায়গায় নিতে চাই: সাইফুল ইসলাম মুরাদ

আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য রায়পুর বণিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তরুণ, উদ্যমী এবং ব্যবসায়ী সমাজের পরিচিত মুখ সাইফুল ইসলাম মুরাদ। রায়পুর বাজারের হায়দার এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার এই ব্যবসায়ী নেতা জনকণ্ঠ-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন—এখন সময় এসেছে ব্যবসায়ীদের কথা ব্যবসায়ীই বলবে, অন্য কারও ছায়ায় নয়। তিনি চান, বণিক সমিতি হোক ব্যবসায়ীদের মর্যাদার প্রতীক।

আজ রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রার্থী হওয়ার তাগিদ কেন অনুভব করলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল ইসলাম মুরাদ বলেন, “পারিবারিক ব্যবসার ইতিহাস আমাদের বহু পুরনো হলেও আমি ১৯৯০ সালে নিজে ব্যবসা শুরু করি। তখন থেকেই লক্ষ্য করেছি—এই শহরের ব্যবসায়ীরা সব সময়ই অবহেলার শিকার। রাস্তার সমস্যা, হকারদের দখল, নিরাপত্তা ইস্যুতে কেউ পাশে দাঁড়ায় না। তখন থেকেই মনে মনে ভেবেছি—কোনো একদিন ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর মতো জায়গায় যেতে চাই।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি রাজনীতির লোক না। তবে ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ একজন মানুষ। আমি মনে করি, বণিক সমিতিকে স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। আমি সেই সাহস দেখাতে এসেছি। নির্বাচনে এসেছি ব্যবসায়ীদের অধিকার ও সম্মানের প্রশ্নে।”

নির্বাচিত হলে কী করবেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রথমেই একটি বণিক সহায়তা ডেস্ক চালু করব—যেখানে প্রতিদিন একজন প্রতিনিধি থাকবেন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সমস্যা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়ার জন্য। বাজার এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও যানজট নিরসনে পৌরসভা ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করব। এটা শুধু ব্যবসার স্বার্থেই নয়, পুরো শহরের স্বার্থে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য স্বল্প সুদে সহযোগিতা তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেব, যাতে দোকানদার ভাইরা সহজে ঋণ পান। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও মার্কেটিং সাপোর্ট নিশ্চিত করব, যাতে নতুন ব্যবসা শুরু করে কেউ পুঁজি হারিয়ে হতাশ হয়ে না পড়েন।”

অন্য প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি কাউকে ছোট করে কথা বলতে চাই না। আমি চাই, প্রতিযোগিতা হোক সম্মানজনক। ভোটারদের জন্য খোলা মাঠ থাকুক। আমি কারও নামে নয়—নিজের কাজ, ভাবনা ও পরিকল্পনার ওপরই জোর দিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি—নেতৃত্ব মানে সেবা। সম্মান ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয় নয়, এটি অর্জন করতে হয়। আমি চাই, ব্যবসায়ী ভাইদের সম্মান যেন কেউ ক্ষুণ্ন না করে।”

সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি বলেন, “আমি ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা ভালোবাসা দেখাচ্ছেন, পাশে থাকছেন। তাদের বলব—আমি কথা দিচ্ছি, যদি নির্বাচিত হই, তাহলে বণিক সমিতি হবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান—যেখানে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়লে বলবে, ‘চলো, সমিতিতে যাই’। সেই স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রার্থী হয়েছি।”

সজিব

×