
ছবি: সংগৃহীত
দুধ ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। ২৫০ গ্রাম দুধে ১৫২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। তবে বাস্তবতা হলো-দুধ সবার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। অনেকের ক্ষেত্রে এটি হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।
দুধ খুবই পুষ্টিকর। এতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব উপাদানই থাকে। একটি শিশু শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করেই ছয় মাস বেঁচে থাকতে পারে। যদি দুধ খাঁটি হয়, তবে মাত্র ২৫০ গ্রাম দুধে ৮.১৪ গ্রাম প্রোটিন, ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২ গ্রাম চিনি এবং ৮ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। প্রাপ্তবয়স্করাও গরু বা মহিষের দুধ নিয়মিত পান করেন। কারণ দুধ ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি শক্তির উৎসও। তবে দুধ হজমের ক্ষমতা সবার শরীরে সমান নয়।
গুরগাঁওয়ের সি কে বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের কনসালটেন্ট ড. তুষার তায়াল জানান, অনেকেরই দুধে অসহিষ্ণুতা (ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স) থাকে। অর্থাৎ, দুধ হজম করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান অন্ত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। দুধে ল্যাকটোজ নামক একধরনের চিনি থাকে, যা হজমের জন্য অন্ত্রে ল্যাকটেজ নামক এনজাইম প্রয়োজন। একইভাবে দুধে থাকা কেসিন হজম হয় কেসিনেজ এনজাইম দ্বারা। বেশিরভাগ ভারতীয়ের শরীরে এই এনজাইমগুলোর অভাব থাকে। জিনগত কারণে অনেকের অন্ত্রে এগুলো একেবারেই থাকে না। ফলে দুধ অন্ত্রে পৌঁছালে তা হজম হয় না।
দুধ হজম না হলে প্রধান প্রভাব পড়ে পাচনতন্ত্রে। এর লক্ষণগুলো হলো: পেট ফাঁপা, অতিরিক্ত ঢেকুর, গ্যাস সৃষ্টি, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য। এই উপসর্গগুলো যদি নিয়মিত দেখা যায়, তাহলে ধরে নিতে হবে দুধই মূল কারণ।
বর্তমানে দুধে নানা রকম ভেজাল মেশানো হয়। দুধে যদি কেবল জল মেশানো হয়, তাহলে বড় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যখন ইউরিয়া বা রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়, তখন তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
এছাড়া অনেক সময় কৃষকরা গরু বা মহিষের দুধ বের করতে অক্সিটোসিন ইনজেকশন ব্যবহার করেন। এই হরমোন দুধের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক হরমোন উৎপাদনকে ব্যাহত করে। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
শহীদ