
ছবি: সংগৃহীত।
আমরা প্রতিদিনের জীবনে এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলি, যেগুলো আমাদের অজান্তেই মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দুর্বলতা ও মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
নিচে তুলে ধরা হলো এমন ৫টি বিপজ্জনক অভ্যাস, যা আমাদের মস্তিষ্কের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে:
১. ঘুমের ঘাটতি:
নিয়মিত কম ঘুমানোর অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সরাসরি হ্রাস করে। এতে করে স্মৃতিভ্রংশ, মনোযোগে ঘাটতি এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। প্রতিরাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।
২. অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার:
ঘন ঘন ফোন দেখা, স্ক্রলিং ও একাধিক অ্যাপে সময় কাটানো মস্তিষ্কের মনোযোগ ও সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয়। এটি ‘ডোপামিন রিওয়ার্ড সিস্টেম’ বিঘ্নিত করে এবং সহজে কিছুতে মন বসে না।
৩. শারীরিক ব্যায়ামের অভাব:
নিয়মিত ব্যায়াম না করলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যায়, ফলে নতুন কোষ তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে। এতে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় এবং মস্তিষ্কের বয়স দ্রুত বেড়ে যায়।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ:
ফাস্টফুড, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদিতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি নিউরনের ক্ষতি ঘটায় এবং আলঝেইমারসহ নানা স্নায়ুজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. একাকীত্ব ও মানসিক চাপ:
লম্বা সময় একা থাকা বা সামাজিক যোগাযোগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মস্তিষ্কের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। অবসাদ ও দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে হলে ঘুম, ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ইতিবাচক সামাজিক যোগাযোগ অত্যন্ত জরুরি। সাময়িক আরামের জন্য গড়ে তোলা এই অভ্যাসগুলো ভবিষ্যতে ভয়াবহ ফল বয়ে আনতে পারে—এ কথা মনে রাখা দরকার।
মিরাজ খান