
ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লেও অনেকেই চাচ্ছেন তারুণ্য ধরে রাখতে। ত্বক যেন থাকে উজ্জ্বল, দেহ থাকে সবল ও চঞ্চল। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে সহজেই দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় তারুণ্য ও কর্মক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তারুণ্য ধরে রাখতে হলে নিচের কাজগুলো নিয়মিত মেনে চলা জরুরি—
১. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম না হলে শরীর দ্রুত বয়সের ছাপ নিয়ে আসে। ঘুম শরীর ও মস্তিষ্ক পুনরুদ্ধারে সহায়ক। এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে ও ত্বক সতেজ রাখে।
২. সুষম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: বয়স প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়া। ফল, শাকসবজি, বাদাম, জলপাই তেল, ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ (যেমন সালমোন, টুনা) নিয়মিত খাওয়া উচিত।
৩. নিয়মিত শরীরচর্চা: রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো ও পেশি সবল রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার বা হালকা ব্যায়াম করা দরকার। নিয়মিত শরীরচর্চা মানসিক প্রশান্তিও বজায় রাখে।
৪. পানি পান এবং হাইড্রেশন: শরীর ও ত্বক সতেজ রাখতে দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি না পেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং বলিরেখা দেখা দেয়।
৫. মানসিক চাপ কমানো: চাপ ও উদ্বেগ শরীরের বয়স দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। মেডিটেশন, বই পড়া, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো কিংবা প্রিয় কাজগুলো করলে স্ট্রেস অনেকটাই কমে।
৬. ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা: এই দুটি অভ্যাস শরীরকে দ্রুত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। ধূমপান ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে ও বলিরেখা বাড়ায়। অ্যালকোহল শরীর ডিহাইড্রেট করে এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে দুর্বল করে।
৭. সানস্ক্রিন ব্যবহার: সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (UV ray) ত্বকের দ্রুত বার্ধক্য ডেকে আনে। তাই বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক সুরক্ষিত থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে , বয়স থামানো না গেলেও বয়সজনিত লক্ষণগুলো অনেকটা বিলম্বিত করা যায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। প্রতিদিন ছোট ছোট সচেতনতা তরুণ চেহারা ও মানসিক প্রশান্তি ধরে রাখতে সহায়ক।
তারুণ্য শুধু চেহারায় নয়, মনেও ধরে রাখতে হয়। এজন্য শারীরিক যত্নের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও অপরিহার্য
মিরাজ খান