ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ঈদের পর রাজধানীমুখী মানুষের ঢল

রাজিবপুরের বটতলা বাসস্ট্যান্ডে চরম ভোগান্তি

আনিছর রহমান, রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ১৫ জুন ২০২৫

রাজিবপুরের বটতলা বাসস্ট্যান্ডে চরম ভোগান্তি

ঈদুল আযহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নেমেছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল চর রাজিবপুরে। উপজেলার বটতলা বাসস্ট্যান্ডে ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে রাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় যাত্রীদের। তবে পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়েই অনেকেই ট্রাক, ট্যাংক লরি, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি ও অটোরিকশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ফিরছেন।

রাজিবপুরের চরাঞ্চল হওয়ার কারণে এখানকার বাসিন্দাদের জেলা শহরে, কিংবা রাজধানীতে যেতে হলে প্রথমে নৌকায় নদী পার হয়ে আসতে হয় বটতলা স্ট্যান্ডে। ঈদের ছুটির পরদিন থেকেই এই রুট ব্যবহার করে রংপুর, কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, উলিপুরসহ আশপাশের অনেক উপজেলার মানুষ ঢাকা ও অন্যান্য কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। ফলে চর রাজিবপুরের বটতলা স্ট্যান্ড হয়ে উঠেছে এককথায় যাত্রাবিরতির কেন্দ্রবিন্দু।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে নেই কোনো শৌচাগার বা ওয়াশরুম। নারী ও পুরুষ উভয় যাত্রীদেরকেই পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের জন্য এটি এক ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে অতিষ্ঠ যাত্রীদের বিশ্রাম বা পানির কোনো ব্যবস্থাও নেই।
তিল মারির যাত্রী মিলন স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে বর্মপুত্র নদ পার হয়ে আসেন বটতলাতে এসেই পড়েন চরম ভোগান্তিতে মেয়ে বাচ্চা ওয়াশরুমে যেতে চায় আশেপাশে ঘোরাফেরা করে ওয়াশরুম না পেয়ে দুঃখ করে বলেন সময় ও অর্থ বাঁচানোর জন্য এ রুটে এসেছি, এসে কঠিন বিপদে পড়েছি। 
রুঙ্গামারির  যাত্রী, আব্দুল হান্নান বলেন,
"এত বড় স্ট্যান্ড, অথচ টয়লেট নেই! পরিবার নিয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়। ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য তো এটা আরও কষ্টকর" ।

Jahan

×