
ছবিঃ সংগৃহীত
পারমাণবিক উত্তেজনায় টালমাটাল মধ্যপ্রাচ্য। একদিকে ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা, অন্যদিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি মানবিক বিপর্যয়ের দিকে। ঠিক এমন এক সময়েই ভারত সরকারের অবস্থান নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোট না দিয়ে বিরত থাকে ভারত। এ নিয়ে দেশটির অভ্যন্তরেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
ভারতের এই অবস্থান নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “এটি লজ্জাজনক ও হতাশাজনক। এর পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস লাগে—আর সেটাই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয়।”
প্রিয়াঙ্কা আরো বলেন, “ভারতের বর্তমান অবস্থান স্বাধীনতা আন্দোলনের নীতিমালার চরম বিপরীত। ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। একটি গোটা জনগোষ্ঠীকে অবরুদ্ধ করে ক্ষুধার মুখে মারা হচ্ছে, আর ভারত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।”
জাতিসংঘে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে ১৪৯টি দেশ ভোট দেয় পক্ষে, বিপক্ষে ভোট দেয় ১২টি দেশ, এবং ১৯টি দেশ, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে, ভোটদানে বিরত থাকে।
প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এর আগেও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশনে ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ বহন করেছিলেন, যাতে ছিল ফিলিস্তিন পতাকার প্রতীক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে এ নিয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণ বাড়ছে। একপক্ষ মোদি সরকারের অবস্থানকে কূটনৈতিক ভারসাম্যের প্রয়াস হিসেবে দেখলেও অন্যপক্ষ এটিকে মানবিক মূল্যবোধ বিসর্জনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
বিশ্বজুড়ে যখন ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা একটি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তখন ভারতের এই অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভবিষ্যতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।
ইমরান