ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ফুসফুস নেই, তাহলে নাক দিয়ে কি করে হাঙর?

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১৫ জুন ২০২৫

ফুসফুস নেই, তাহলে নাক দিয়ে কি করে হাঙর?

ছ‌বি: সংগৃহীত

হাঙরের ফুসফুস না থাকলেও তাদের নাক একেবারেই অকার্যকর নয়। আমাদের যেটাকে নাক বলি, হাঙরের ক্ষেত্রে সেটার বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘ন্যারিজ’ (nares)। তবে মানুষের নাক যেমন শ্বাস নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়, হাঙরের ন্যারিজ শুধুমাত্র গন্ধ শোঁকার জন্য ব্যবহৃত হয়।

হাঙরের প্রতিটি ন্যারি’র ভিতরে রোশেট আকৃতির এক ধরনের গঠন থাকে, যা গন্ধ সনাক্তকারী সংবেদনশীল কোষে ভর্তি থাকে। হাঙর যখন সাঁতার কাটে, তখন পানির স্রোত এই ন্যারিজে ঢুকে যায় এবং সেই পানিতে থাকা গন্ধের অণুগুলো ধরা পড়ে এই সংবেদনশীল কোষগুলোর কাছে।

কিছু হাঙরের ন্যারিজে এমনকি ছোট ছোট লোমের মতো সিলিয়া (cilia) থাকে, যেগুলো পানিকে ভেতরের দিকে টেনে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এভাবেই হাঙর আশেপাশের জলের গন্ধ খুব সহজে বুঝে নিতে পারে।

এই গন্ধ শোঁকার ক্ষমতা হাঙরকে সমুদ্রের গভীরে শিকার খুঁজে পেতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এমনকি তারা দুই ন্যারিজে গন্ধের তারতম্য বুঝে বের করতে পারে শিকার ঠিক কোন দিক থেকে আসছে।

বায়ুর মধ্যে যেমন গন্ধ সহজে ছড়িয়ে পড়ে, পানির নিচে গন্ধ অনেক বেশি এলোমেলোভাবে ছড়ায়— ধারাবাহিকতা থাকে না, জলপ্রবাহের সঙ্গে ভেসে যায়। তাই শুধু গন্ধ নয়, পানির চলাচলও হাঙর বুঝতে পারে। গন্ধ ও জলপ্রবাহ— এই দুই সংকেত একসঙ্গে মিলিয়ে তারা শিকার নির্ণয়ে খুবই নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ফলে দেখা যাচ্ছে, ফুসফুস না থাকলেও নাক দিয়ে হাঙরের অনেক কিছুই বোঝা যায়। কারণ এই নাক সত্যিই ‘ঘ্রাণ জানে’।

সূত্র: ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি নিউজ

এম.কে.

×